পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলায়তন כל לש পঞ্চক। মাতৃহত্যা করলুম না অথচ মাতৃহত্যার পাপটা করলুম, সেই মজাটা কিরকম দেখতে আমার ভয়ানক কৌতুহল। প্রথম বালক । তোমার ভয় করবে না ? পঞ্চক। কিছু না। ভাই স্বভদ্র, তুই কী দেখলি বল দেখি । দ্বিতীয় বালক। না না, বলিস নে। তৃতীয় বালক । না, সে আমরা শুনতে পারব না— কী ভয়ানক ! প্রথম বালক । আচ্ছ, একটু, খুব একটুখানি বল ভাই। স্বভত্র। আমি দেখলুম— সেখানে পাহাড়, গোরু চরছে— বালকগণ । (কানে আঙল দিয়া) ও বাবা ! না না, আর শুনব না। আর বোলে৷ ন। স্বভদ্র। ঐ যে উপাধ্যায়মশায় আসছেন। চল চল— আর না। পঞ্চক। কেন। এখন তোমাদের কী। প্রথম বালক। বেশ, তাও জান না বুঝি। আজ যে পূর্বফল্গুনী নক্ষত্ৰ— পঞ্চক । তাতে কী । দ্বিতীয় ৰালক । আজ কাকিনী সরোবরের নৈঋত-কোণে টোড়াসাপের খোলস খুজিতে হৱে না ? পঞ্চক । কেন রে ? প্রথম বালক । তুমি কিছু জান না পঞ্চকদাদা ! সেই খোলস কালে রঙের ঘোড়ার লেজের সাতগাছি চুল দিয়ে বেঁধে পুড়িয়ে ধোয়া করতে হবে যে । দ্বিতীয় বালক। আজ যে পিতৃপুরুষের সেই ধোয়৷ ভ্ৰাণ করতে আসবেন। পঞ্চক। তাতে র্তাদের কষ্ট হবে না ? প্রথম বালক । পুণ্য হবে যে, ভয়ানক পুণ্য । [ বালকগণের প্রস্থান উপাধ্যায়ের প্রবেশ উপাধ্যায়। পঞ্চককে শিশুদের দলেই প্রায় দেখতে পাই । পঞ্চক। এই আয়তনে ওদের সঙ্গেই আমার বুদ্ধির একটু মিল হয়। ওরা একটু বড়ো হলেই আর তখন— উপাধ্যায়। কিন্তু তোমার সংসর্গে যে ওরা অসংযত হয়ে উঠছে। সেদিন পটুবৰ্ম আমার কাছে এসে নালিশ করেছে, শুক্রবারের প্রথম প্রহরেই উপতিত্ব তার গায়ের উপর হাই তুলে দিয়েছে। পঞ্চক। তা দিয়েছে বটে। আমি স্বয়ং সেখানে উপস্থিত ছিলুম।