পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলায়তন ৩২৭ উপাধ্যায়। না, আমিও তো মনে আনতে পারি নে। আজ তিনশো বছর এ প্রায়শ্চিত্তটার প্রয়োজন হয় নি— সবাই ভূলেই গেছে। ঐ-যে মহাপঞ্চক আসছে— যদি কারো জানা থাকে তো সে ওর । মহাপঞ্চকের প্রবেশ উপাধ্যায়। মহাপঞ্চক, সব শুনেছ বোধ করি । মহাপঞ্চক। সেইজন্তেই তো এলুম ; আমরা এখন সকলেই অশুচি, বাহিরের হাওয়া অামাদের আয়তনে প্রবেশ করেছে। উপাচার্য। এর প্রায়শ্চিত্ত কী, আমাদের কারো স্মরণ নেই– তুমিই বলতে পার। মহাপঞ্চক । ক্রিয়াকল্পতরুতে এর কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না— একমাত্র ভগবান জলনানন্তকৃত আধিকমিক বর্ষায়ণে লিখছে অপরাধীকে ছয় মাস মহাতামস সাধন করতে হবে । উপাচার্য। মহাতামস ? মহাপঞ্চক । হা, আলোকের এক রশ্মিমাত্র সে দেখতে পাবে না। কেননা আলোকের দ্বারা যে অপরাধ অন্ধকারের দ্বারাই তার ক্ষালন । উপাচার্য। তা হলে, মহাপঞ্চক, সমস্ত ভার তোমার উপর রইল । উপাধ্যায়। চলো, আমিও তোমার সঙ্গে যাই। ততক্ষণ স্বভদ্রকে হিজুমর্দনকুণ্ডে স্নান করিয়ে আনি গে । [ সকলের গমনোদ্যম আচার্য। শোনো, প্রয়োজন নেই। উপাধ্যায়। কিসের প্রয়োজন নেই ? আচার্য । প্রায়শ্চিত্তের । + মহাপঞ্চক। প্রয়োজন নেই বলছেন ! আধিকমিক বর্ষায়ণ খুলে আমি এখনই দেখিয়ে দিচ্ছি— আচার্য। দরকার নেই– স্বভদ্রকে কোনো প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে না, আমি আশীৰ্বাদ করে তার— মহাপঞ্চক। এও কি কখনো সম্ভব হয় ? যা কোনো শাস্ত্রে নেই আপনি কি তাই— আচার্ধ । না, হতে দেব না, যদি কোনো অপরাধ ঘটে সে আমার । তোমাদের ভয় নেই। উপাধ্যায়। এ-রকম দুর্বলতা তো আপনার কোনোদিন দেখি নি। এই তো