পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీశ్రీg রবীন্দ্র-রচনাবলী তৃতীয় শোণপাণ্ড । খুব পারি। পঞ্চক । ওরে, তোরা আমাকে মাটি করলি রে । আমি আর থাকতে পারছি নে। তোদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে আর সাহস হচ্ছে না। এমন জবাব যদি আর-একটা শুনতে পাই তা হলে তোদের বুকে করে পাগলের মতো নাচব, আমার জাত-মান কিছু থাকবে না । ভাই, তোরা সব কাজই করতে পাস ? তোদের দাদাঠাকুর কিছুতেই তোদের মানা করে না ? শোণপাংশুগণের গান সব কাজে হাত লাগাই মোরা সব কাজেই। বাধাবাধন নেই গো নেই। দেখি, খুজি বুঝি, কেবল ভাঙি, গড়ি, যুঝি, মোরা সব দেশেতেই বেড়াই ঘুরে সব সাজেই। পারি, নাইবা পারি, নাহয় জিতি কিংবা হারি, যদি অমনিতে হাল ছাড়ি, মরি সেই লাজেই। আপন হাতের জোরে আমরা তুলি স্বজন করে, আমরা প্রাণ দিয়ে ঘর বাধি, থাকি তার মাঝেই । পঞ্চক। সর্বনাশ করলে রে— আমার সর্বনাশ করলে ! আমার আর ভদ্রত রাখলে না। এদের তালে তালে আমারও পা-দুটো নেচে উঠছে। আমাকে সুদ্ধ এর টানবে দেখছি। কোন দিন আমিও লোহা পিটব রে, লোহা পিটব— কিন্তু খেসারির ভাল— ন না, পাল ভাই, পালা তোরা। দেখছিস নে, পড়ব বলে পুথি সংগ্রহ করে এনেছি। দ্বিতীয় শোণপাংশু । ও কী পুথি দাদা ? ওতে কী আছে ? পঞ্চক। এ আমাদের দিকৃচক্রচন্দ্রিকা— এতে বিস্তর কাজের কথা আছে রে । প্রথম শোণপাংশু । কিরকম ? পঞ্চক । দশটা দিকের দশ রকম রঙ গন্ধ আর স্বাদ অাছে কি না এতে তার সমস্ত খোলসা করে লিখেছে। দক্ষিণ দিকের রঙটা হচ্ছে রুইমাছের পেটের মতো, ওর গন্ধটা দধির গন্ধ, স্বাদটা ঈষং মিষ্টি ; পূব দিকের রঙটা হচ্ছে সবুজ, গন্ধটা মদমত্ত হাতির মতে, স্বাদটা বকুলের ফলের মতো কষা— নৈঋত কোণের –