পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলায়তন Hෂණූ এই তো সকল ক্ষণের মানুষ দাদাঠাকুর। এই তো ঘরে ঘরে, এই তো বাহির করে, এই আমাদের কোণের মানুষ পঞ্চক। ও ভাই, তোদের দাদাঠাকুরকে নিয়ে তোরা তো দিনরাত মাতামাতি করছিস, একবার আমাকে ছেড়ে দে, আমি একটু নিরালায় বসে কথা কই । ভয় নেই, ওঁকে আমাদের অচলায়তনে নিয়ে গিয়ে কপাট দিয়ে রাখব না। প্রথম শোণপাংশু । নিয়ে যাও না । সে তো ভালোই হয় । তা হলে কপাটের বাপের সাধ্য নেই বন্ধ থাকে। উনি গেলে তোমাদের অচলায়তনের পাথরগুলো-স্বদ্ধ নাচতে আরম্ভ করবে, পুথিগুলোর মধ্যে বঁাশি বাজবে। দ্বিতীয় শোণপাংশু। আচ্ছা, আয় ভাই, আমাদের কাজগুলো সেরে আসি । দাদাঠাকুরকে নিয়ে পঞ্চকদাদা একটু বস্থক । [ প্রস্থান পঞ্চক। ঐ শোণপাংশুগুলো গেছে, এইবার তোমার পায়ের ধুলো নিই দাদাঠাকুর । ওরা দেখলে হেসে অস্থির হত তাই ওদের সামনে কিছু করি নে। দাদাঠাকুর । দরকার কী ভাই পায়ের ধুলোয় । পঞ্চক। নিতে ইচ্ছে করে। বুকের ভিতরট যখন ভরে ওঠে, তখন বুঝি তার ভারে মাথা নিচু হয়ে পড়ে – ভক্তি না করে যে বাচি নে। * ... দাদাঠাকুর । ভাই, আমিও থাকতে পারি নে। স্নেহ যখন আমার হৃদয়ে ধরে না, তখন সেই স্নেহই আমার ভক্তি । পঞ্চক । অচলায়তনে প্রণাম করে করে ঘাড়ে ব্যথা হয়ে গেছে। তাতে নিজেকেই কেবল ছোটো করেছি, বড়োকে পাই নি। দাদাঠাকুর । এই আমার সবার বাড়া বড়োর মধ্যে এসে যখন বসি তখন ষ৷ করি তাই প্রণাম হয়ে ওঠে। এই-ষে খোলা আকাশের নীচে দাড়িয়ে তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে আমার মন তোমাকে আশীর্বাদ করছে— এও আমার প্রণাম । পঞ্চক। দাদাঠাকুর, তোমার দুই চোখ দিয়ে এই-ষে তুমি কেবল সেই বড়োকে দেখছ, তোমাকে যখন দেখি তখন তোমার সেই দেখাটিকেও আমি যেন পাই। তখন द्भ-> >||२२