পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলায়তন ()\ყჯ স্বখে দুখে বুকের মাঝে পথের বঁাশি কেবল বাজে, সকল কাজে শুনি যে তাই রে । পাগলামি আজ লাগল পাখায়, পাখি কি আর থাকবে শাখায় ? দিকে দিকে সাড়া যে পাই রে । অাচার্যের প্রবেশ পঞ্চক। দূরে থেকে নানাপ্রকার শব্দ শুনতে পাচ্ছি আচার্যদেব ! অচলায়তনে বোধ হয় খুব সমারোহ চলছে। আচার্য । সময় তো হয়েছে। কালই তো তার আসবার কথা ছিল । আমার মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। একবার সুতসোমকে ওখানে পাঠিয়ে দিই। পঞ্চক। তিনি আজ একাদশীর তপণ করবেন বলে কোথায় ইন্দ্রতৃণ পাওয়া যায় সেই খোজে বেরিয়েছেন । দর্ভকদলের প্রবেশ পঞ্চক। কী ভাই, তোরা এত ব্যস্ত কিসের ? প্রথম দৰ্ভক। শুনছি অচলায়তনে কারা সব লড়াই করতে এসেছে। আচার্য। লড়াই কিসের ? আজ তো গুরু আসবার কথা । দ্বিতীয় দর্তক। না না, লড়াই হচ্ছে খবর পেয়েছি। সমস্ত ভেঙেচুরে একাকার করে দিলে যে । তৃতীয় দর্তক। বাবাঠাকুর, তোমরা যদি হুকুম কর আমরা যাই ঠেকাই গিয়ে । আচার্য । ওখানে তো লোক ঢের অাছে, তোমাদের ভয় নেই বাবা । প্রথম দৰ্ভক। লোক তো আছে কিন্তু তারা লড়াই করতে পারবে কেন ? দ্বিতীয় দর্তক। শুনেছি কতরকম মন্ত্ৰলেখা তাগাতাবিজ দিয়ে তারা দুখান৷ হাত আগাগোড়া কষে বেঁধে রেখেছে। খোলে না, পাছে কাজ করতে গেলেই তাদের হাতের গুণ নষ্ট হয় । পঞ্চক । আচার্যদেব, এদের সংবাদটা সত্যই হবে। কাল সমস্ত রাত মনে হচ্ছিল চার দিকে বিশ্বব্রহ্মাও যেন ভেঙেচুরে পড়ছে। ঘুমের ঘোরে ভাবছিলুম স্বপ্ন বুঝি। 잘(-)》 8