পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अष्ब्ना बूद्धि জেহের রসে পরিপাক অতিমধুর জরা । ফুলো ফুলো দুই চোখে তার, দুই গালে আর ঠোটে উছলে-পড়া হৃদয় যেন ঢেউ খেলিয়ে ওঠে । কপালে দুই ভুরুর মাঝে উলকি-আঁকা ফোটা । গাড়ি-চাপা কুকুর একটা মািরতেছিল। পথে, সেবা করে বাচিয়ে তারে তুলল কোনোমতে । খোড়া কুকুর সেই ছিল তার নিত্যসহচর ; আধাপাগলি বি ছিল এক, বাড়ি বালেশ্বর । সঙ্গে ওটা যাবে না তো, বাজে রইল ঢাকা, ব্ৰাক্ষণে দান করতে না চাও নাহয় দাও-কেনা ধার, জানোই তো এই অসময়ে টাকার কী দরকার ।” বুড়ি হেসে বলে, “ঠাকুর, দরকার তো আছেই, সেইজন্যে ধার না দিয়ে রাখি টাকা কাছেই ।” সাৎরাপাড়ার কায়েতবাড়ির বিধবা এক মেয়ে, এককালে সে সুখে ছিল বাপের আদর পেয়ে । বাপ মরেছে, স্বামী গেছে, ভাইরা না দেয়া ঠাইদিন চালাবে এমনতরো উপায় কিছু নাই । শেষকালে সে ক্ষুধার দায়ে, দৈন্যদশার লাজে চলে গেল হাসপাতালে রোগীসেবার কাজে । এর পিছনে বুড়ি ছিল, আর ছিল লোক তার কংসারি শীল বেনের ছেলে মুকুন্দ মোক্তার । গ্রামের লোকে হি-হি করে, জাতে ঠেলিল তাকে, একলা কেবল আচল বুড়ি আদর করে ডাকে । সে বলে, “তুই বেশ করেছিস যা বলুক-না যেবো, ভিক্ষা মাগার চেয়ে ভালো দুঃখী দেহের সেবা ।” জমিদারের মায়ের শ্ৰাদ্ধ, বেগার খািটার ডাকরাই ডোমানির ছেলে বললে, কাজের যে নেই। ইফাক, পারবে না। আজ যেতে । শুনে কোতলপুরের রাজা বললে, ওকে যে করে হোক দিতেই হবে সাজা । মিশনারির স্কুলে পড়ে, কম্পোজিটরের কাজ শিখে সে শহরেতে আর করেছে ঢেরাতাই হবে কি ছোটোলোকের ঘাড়-বাকানো চাল । সাক্ষ্য দিল হরিশ মৈত্র, দিল মাখনলালভাকলুঠের এক মোকদ্দমায় মিথ্যে জড়িয়ে ফেলে গোষ্ঠীকে তো চালান দিল সাত বছরের জেলে ।