পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছড়ার ছবি মৃত্যুপারের থেকেই ও যে ফিরেছে মোর কাছে, এমন বন্ধু তিন ভুবনে আর কি আমার আছে।” বাপের কানে কী বললে সেই দুনিটাদের ছেলে, জেদ বেড়ে তার গেল বুঝি। যেমনি বাধা পেলে । শেঠজি বলে মাথা নেড়ে, “দুই-চারিমাস যেতেই ওই সুধিয়ার গতি হবে আমার গোয়ালেতেই ৷” কালোয় সাদায় মিশেল বরন, চিকন নধর দেহ, সর্ব অঙ্গে ব্যাপ্ত যেন রাশীকৃত স্নেহ । আকাল এখন, সামারু নিজে দুইবেলা আধ-পেটা ; সুধিয়াকে খাওয়ানো চাই যখনি পায় যেটা । দিনের কাজের অবসানে গোয়ালঘরে ঢুকে ব’কে যায় সে গাভীর কানে যা আসে তার মুখে । কারো ’পরে রাগ সে জানায়, কখনো সাবধানে গোপন খবর থাকলে কিছু জানায় কানে কানে । সুধিয়া সব দাড়িয়ে শোনে কানটা খাড়া করে, বুঝি কেবল ধ্বনির সুখে মন ওঠে তার ভরে । সামারু যখন ছোটো ছিল পালোয়ানের পেশা ইচ্ছা করেছিল নিতে, ওই ছিল তার নেশা । খবর পেল, নবাববাড়ি কুক্তিগিরের দল পাল্লা দেবে-সামীরু শুনে অসহ্য চঞ্চল। বাপকে বলে গেল ছেলে, “কথা দিচ্ছি শোনো, এক হস্তার বেশি দেরি হবে না কখখোনো ।” ফিরে এসে দেখতে পেলে, সুধিয়া তার গাই শেঠ নিয়েছে ছলে-বলে, গোয়ালঘরে। নাই । যেমনি শোনা অমনি দুটিল, ভোজালি তার হাতে, দুনিৰ্চাদের গদি যেথায় নাজির-মহল্লাতে । “কী রে সামরু, ব্যাপারটা কী” শেঠজি শুধায় তাকে । সামরু বলে, “ফিরিয়ে নিতে এলুম সুধিয়াকে ৷” শেঠ বললে, “পাগল নাকি, ফিরিয়ে দেব তোরে, পরশু ওকে নিয়ে এলুম ডিক্রিজারি করে ।” “সুধিয়া রে” “সুধিয়া রে” সামরু দিল হাক, পাড়ার আকাশ পেরিয়ে গেল বীজমন্দ্ৰ ডাক । চেনা সুরের হাম্বা ধ্বনি কোথায় জেগে উঠে, प्रऊिं ईिफु नृक्षिशा औ३ शठ९७ान हूणी । দু, চোখ বেয়ে ঝরিছে বারি, অঙ্গটি তার রোগা, অন্নপানে দেয় নি সে মুখ, অনশনে-ভোগা । সামীরু ধরল জড়িয়ে গলা, বললে, “নাই রে ভয়, আমি থাকতে দেখব। এখন কে তোরে আর লয়।- তোমার টাকায় দুনিয়া কেনা, শেঠ দুনিটাদ, তবু এই সুধিয়া একলা নিজের, আর কারো নয় কীভূ । bro