পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yoo (சுரத் sஅ88 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী थव्ी এই জগতের শক্ত মনিবা সয় না একটু ক্ৰটি, যেমন নিত্য কাজের পালা তেমনি নিত্য দুটি । বাতাসে তার ছেলেখেলা, আকাশে তার হাসি, সাগর জুড়ে গদগদ ভাষা বুদবুদে যায় ভাসি । কারনা ছোটে দুরের ডাকে পাথরগুলো ঠেলেকাজের সঙ্গে নাচের খেয়াল কোথার থেকে পেলে । ওই হোথা শাল, পাচশো বছর। মজাতে ওর ঢাকাগম্ভীরতায় অটল। যেমন, চঞ্চলতায় পাকা । মজাতে ওর কঠোর শক্তি, বকুনি ওর পাতায়কাড়ের দিনে কী পাগলামি চাপে যে ওর মাথায় । ফুলের দিনে গন্ধের ভোজ অবাধ সারাক্ষণ, ডালে ডালে দখিন হাওয়ার বাধা নিমন্ত্ৰণ । কাজ করে মন অসাড় যখন মাথা যাচ্ছে ঘুরে হিমালয়ের খেলা দেখতে এলেম অনেক দূরে । এসেই দেখি নিষেধ জাগে কুহেলিকার স্তুপে, গিরিরাজের মুখ ঢাকা কোন সুগভীরের রূপে । রাত্তিরে যেই বৃষ্টি হল, দেখি সকালবেলায়, চান্দরটিা ওর কাজে লাগে চাদর-খোলার খেলায় । ঢাকার মধ্যে চাপা ছিল কৌতুক একরাশি, প্ৰকাণ্ড এক হাসি । ছবি-আঁকিয়ে ছবি আঁকার মানুষ ওগো পথিক চিরকেলে, চলছ তুমি আশেপাশে দৃষ্টির জাল ফেলে । পথ-চলা সেই দেখাগুলো লাইন দিয়ে একে পাঠিয়ে দিলে দেশ-বিদেশের থেকে । যাহ-তাহা যেমন-তেমন আছে কতই কী যে, তোমার চোখে ভেদ ঘটে নাই চণ্ডালে আর দ্বিজে । ওই যে গরিবপাড়া, আর কিছু নেই ঘেঁষাৰ্ঘেষি কয়টা কুটীর ছাড়া । তার ওপারে শুধু চৈত্রমাসের মাঠ করছে ধু ধু । এদের পানে চক্ষু মেলে কেউ কীভু কি দাড়ায়, ইচ্ছে ক’রে এ ঘরগুলোর ছায়া কি কেউ মাড়ায় ।