পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

स्क्रचूनिन्म আজ মম জন্মদিন । সদ্যই প্ৰাণের প্রান্তপথে ডুব দিয়ে উঠেছে সে বিলুপ্তির অন্ধকার হতে মরণের ছাড়পত্র নিয়ে । মনে হতেছে কী জানি পুরাতন বৎসরের গ্রন্থিবাধা জীৰ্ণমালাখানি সেথা গেছে। ছিন্ন হয়ে ; নবসূত্রে পড়ে আজি গাথা নব জন্মদিন । জন্মোৎসবে এই-যে আসন পাতা হেথা আমি যাত্রী শুধু, অপেক্ষা করিব, লব টিকা মৃত্যুর দক্ষিণ হস্ত হতে, নূতন অরুণলিখা যাবে দিবে যাত্রার ইঙ্গিত । আজ আসিয়াছে কাছে জন্মদিন মৃত্যুদিন, একাসনে দোহে বসিয়াছে, দুই আলো মুখোমুখি মিলিছে জীবনপ্রান্তে মম রজনীর চন্দ্ৰ আর প্রত্যুষের শুকতারাসমএক মন্মে দোহে। অভ্যর্থনা । প্রাচীন অতীত, তুমি নামাও তোমার আর্ঘ্য ; অরাপ প্ৰাণের জন্মভূমি, উদয়শিখরে তার দেখো আদিজ্যোতি । করো মোরে আশীৰ্বাদ, মিলাইয়া যাক তুষাতপ্ত দিগন্তরে মায়াবিনী মরীচিকা । ভরেছিনু আসক্তির ডালি কাণ্ডালের মতো ; অশুচি সঞ্চােয়পাত্র করো খালি, ভিক্ষামুটি ধুলায় ফিরায়ে লও, যাত্রাতরী বেয়ে পিছু ফিরে আর্ত চক্ষে যেন নাহি দেখি চেয়ে চেয়ে জীবনভোজের শেষ উচ্ছিষ্টের পানে । হে বসুধা, নিত্য নিত্য বুঝায়ে দিতেছ। মোরে- যে তৃষ্ণা, যে ক্ষুধা তোমার সংসাররথে সহস্রের সাথে ধাধি মোরে টানায়েছে রাত্রিদিন স্কুল সন্ম নানাবিধ ডোরে