পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nè SRr রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী জীবনের স্মৃতিদীপে আজিও দিতেছে যারা জ্যোতি সেই কাটি বাতি দিয়ে রচিব তোমার সন্ধ্যারিতি সপ্তর্ষির দৃষ্টির সম্মুখে ; দিনান্তের শেষ পালে রবে। মোর মৌন বীণা মুছিয়া তোমার পদতলে । আর রবে পশ্চাতে আমার, নাগকেশরের চারা ফুল যার ধরে নাই, আর রবে খেয়াতৱীহারা এ পারের ভালোবাসা- বিরহস্মৃতির অভিমানে ক্লান্ত হয়ে রাত্রিশেষে ফিরিবে সে পশ্চাতের পানে । গৌরীপুর-ভবন । কালিম্পং NR KN e 8 9QVGs ডাক্তার শ্ৰীসুরেন্দ্ৰনাথ দাসগুপ্তকে লিখিত বন্ধু, চিরপ্রশ্নের বেদীসম্মুখে চিরনির্বক রহে বিরাট নিরুত্তর, তাহারি পরশ পায় যবে মন নম্রললাটে বহে আপন শ্রেষ্ঠ বীর । খনে খনে তারি বহিরঙ্গগন্ধারে পুলকে দাড়াই, কত কী যে হয় বলা ; শুধু মনে জানি বাজিল না বীণাতারে পরমের সুরে চরমের গীতিকলা । চকিত আলোকে কখনো সহসা দেখা দেয়, সুন্দর, দেয় না। তবুও ধরামাটির দুয়ার ক্ষণেক খুলিয়া আপন গোপন ঘর দেখায় বসুন্ধরা । আলোকধামের আভাস সেথায় আছে মর্তের বুকে অমৃত পাত্রে ঢাকা ; ফাগুন সেথায় মন্ত্র লাগায় গাছে, অরূপের রূপ পল্লবে পড়ে আঁকা । তারি আহবানে সাড়া দেয় প্ৰাণ, জাগে বিস্মিত সুর, নিজ অর্থ না জানে ; ধূলিময় বাধা-বন্ধ এড়ায়ে চলে যাই বহুদূর আপনারি গানে গানে ।

  • দেখেছি দেখেছি’। এই কথা বলিবারে * সুর বেধে যায়, কথা না জোগায় মুখে ;

ধন্য যে আমি, সে কথা জানাই কারেপরশান্তীতের হরিয়া জাগে যে বুকে ।