পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

See Sese ষ্ঠাটার গভীর টানে তীখানা ভেসে যায় সমুদ্রের পানে । নুতন কালের নব যাত্রী ছেলেমেয়ে শুধাইছে। দূর হতে চেয়ে, “সন্ধ্যার তারার দিকে বহিয়া চলেছে তরণী কে ।” সেতারেতে বাধিলাম তার, গাহিলাম আরবারমোর নাম এই বলে খ্যাত হোক, আমি তোমাদেরই লোক আর কিছু নয়, এই হােক শেষ পরিচয় পালের নৌকা তীরের পানে চেয়ে থাকি পালের নৌকা ছাড়িগাছের পরে গাছ ছুটে যায়, বাড়ির পরে বাড়ি । দক্ষিণে ও বামে as PCs at ঘাটের পরে ঘাটগুলো সব পিছিয়ে চলে যায় ভোজবাজিরই প্ৰায় । নাইছে যারা তারা যেন সবাই মরীচিকা যেমনি চোখে ছবি আঁকে মোহে ছবির লিখা । আমি যেন চেপে আছি মহাকালের তরী, দেখছি চেয়ে যে খেলা হয় যুগযুগান্ত ধরি । পরিচয়ের যেমন শুরু তেমনি তাহার শেষসামনে দেখা দেয়, পিছনে অমনি নিরুদেশ । ভেবেছিলুম ভুলব না। যা তাও যাচ্ছি। ভুলে, পিছু দেখার ঘুচিয়ে বেদন চলহি নতুন কুলে। পেতে পেতেই ছাড়া দিনরাত্তির মনটাকে দেয় নাড়া । এই নাড়াতেই লাগছে খুশি লাগছে, ব্যথাকভু, বেঁচে-থাকার চলতি খেলা লাগছে ভালোই তৰু।। বায়েক ফেলা, বাক্লেক তোলা, ফেলতে ফেলতে যাওয়াএকেই বলে জীবনতীর চলন্ত দাড় বাওয়া । S8)