পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SbrSR রবীন্দ্র-রচনাবলী গান আলোক-চোরা লুকিয়ে এল ওই, তিমিরজয়ী বীর, তোরা আজ কই । ७३कूग्रांती-खाद्भौका কাহার কাছে লই । মলিন হল শুভ্র বরন, অরুণ সোনা করলে হরণ, লজা পেয়ে নীরব হল উষা জ্যোতির্ময়ী । সুপ্তিসাগর-তীর বেয়ে সে এসেছে মুখ ঢেকে, অঙ্গে কালি মেখে । রবির রশ্মি, কই গো তোরা, কোথায় আঁধার-হেদন ছোরা, উদয়শৈলশৃঙ্গ হতে বল মাভৈঃ মাভৈঃ । নরেশ । এ গান কোথায় পেলে বিপাশা ? বিপাশা । কাশ্মীরে মার্তগুদেবের মন্দিরে আমরা এ গান গাই হেমন্তে গিরিশিখরে যখন আলোকীরাজ্যে অরাজকতা আসে । নরেশ । এ গান আমাকে শোনালে যে ? বিপাশা। এখানকার ক্লিষ্ট আকাশে তুমিই আলোকের দৃত । যাক মীনকেতুর বেদী ভেঙে, সেখানে তোমার আসন ধরবে না, রুদ্রভৈরবের নির্মাল্য আনব তোমার জন্যে । এখানে তিনি ভৈরব, কাশ্মীরে তিনিই মার্তণ্ড, সেই দেবতাকে প্ৰসন্ন করে বীর। আজ সকালে আর্তত্রিাণের জন্যে যে কৃপাণ খুলেছিলে একবার দাও আমার হাতে । (তলোয়ার কপালে ঠেকিয়ে) রুদ্রের তৃতীয় চক্ষুতে তুমিই অগ্নি, প্রভাতমার্তণ্ডের দীপ্ত দৃষ্টিতে তুমিই রৌদ্রচ্ছটা, বীরের হাতে তুমি কৃপাণ, তোমাকে নমস্কার । 百忆列(艾夺田百R邻旧 সুপ্তিজড়িত তিমিরজাল সহে না সহে না গো । এসো নিরুদ্ধ দ্বারে রাজকুমার, ঐ দেখো ! নরেশ । সেই আমার পদ্মের কুঁড়ি ! এখনো রেখেছে ? বিপাশা। এ আজ কথা কয়েছে- কাশ্মীরের হৃদয় জেগেছে। এর মধ্যে। নরেশ । ঐ আসছেন। মীর সঙ্গে রাজা । আমাকে হয়তো প্রয়োজন আছে- তুমি মন্দির-প্রাঙ্গণে অপেক্ষা করে । [বিপাশার প্রস্থান