পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

su VOO মণিহারা সেই জীৰ্ণপ্রায় বাধাঘাটের ধারে আমার বোট লাগানো ছিল। তখন সূর্ব অন্ত গিয়াছে। বোটের ছাদের উপরে মাৰি নমাজ পড়িতেছে। পশ্চিমের জলপ্ত আকাশপটে তাহর নীরব উপাসনা ক্ষণে ক্ষণে ছবির মতো আঁকা পড়িতেছিল। স্থির রেখাহীন নদীর জলের উপর ভাষাতীত অসংখ্য বর্ণজটা দেখিতে দেখিতে ফ্রিকা হইতে গাঢ় লেখায়, সোনার রঙ হইতে ইস্পাতের রঙে, এক আভা হইতে আর-এক আভায় মিলাইয়া আসিতেছিল । জানালা-ভাঙা বারান্দা-কুলিয়া-পড়া জরাগ্রান্ত বৃহৎ অট্টালিকার সম্মুখে অশ্বথমূল বিদারিত ঘাটের উপর বিচিত্রমুখর সন্ধ্যাবেলায় একলা বসিয়া আমার শুক চক্ষুর কোণ ভিজিবে-ভিজিবে করিতেছে, এমন সময়ে মাথা হইতে পা পৰ্যন্ত হঠাৎ চমকিয়া উঠিয়া শুনিলাম, “মহাশয়ের কোথা হইতে vara. " দেখিলাম ভদ্রলোকটি স্বল্পাহারণীর্ণ ভাগ্যলক্ষ্মী কর্তৃক নিতান্ত অনাদৃত । বাংলাদেশের অধিকাংশ বিদেশী চাকরের যেমন একরকম বহুকাল-জীৰ্ণসংস্কার-বিহীন চেহারা, ইহারও সেইরূপ। ধুতির উপরে একখানি মলিন তৈলাক্ত আসামি, মটকার বোতাম খোলা চাপকন ; কর্মক্ষেত্র হইতে যেন অল্পীক্ষণ হইল ফিরিতেছেন । এবং যে সময় কিঞ্চিৎ জলপান খাওয়া উচিত ছিল সে সময় হতভাগ্য নদীতীরে কেবল সন্ধ্যার হাওয়া থাইতে আসিয়াছেন । আগন্তুক সোপানপাৰ্থে আসনগ্ৰহণ করিলেন । আমি কহিলাম, “আমি রাচি হইতে আসিতেছি ।” *ी कष्ट्रा श् ।।” 'सावना कब्रिग्रां शांकि ।” “কী ব্যাবসা ।” “হরীতকী, রেশমের গুটি এবং কাঠের ব্যাবসা ।” “কী নাম ।” ঈষৎ থামিয়া একটা নাম বলিলাম । কিন্তু সে আমার নিজের নাম নহে । ভদ্রলোকের কৌতুহল নিবৃত্তি হইল না । পুনরায় প্রশ্ন হইল, “এখানে কী করিতে আগমন ।” আমি কহিলাম, “বায়ুপরিবর্তন।” লোকটি কিছু আশ্চর্য হইল। কহিল, “মহাশয়, আজ প্রায় ছয়বৎসর ধরিয়া এখানকার বায়ু এবং সুঃসঙ্গ সঙ্গে এতাহ গড়ে পনের হেন হরিয়া ফাইন এইবোৰ কিন্তু দি তাে ফল পাই "ן আমি কহিলাম, “এ কথা মানিতেই হইবে, রাচি হইতে এখানে বায়ুর যথেষ্ট পরিবর্তন দেখা যাইবে ।” তিনি কহিলেন, “আজ্ঞা হা, যথেষ্ট । এখানে কোথায় বাসা করিবেন ।” আমি ঘাটের উপরকার জীর্ণবাড়ি দেখাইয়া কহিলাম, “এই বাড়িতে ।” বোধ করি লোকটির মনে সন্দেহ হইল, আমি এই পোড়ো বাড়িতে কোনো গুপ্তধনের সন্ধান পাইয়াছি। কিন্তু এ সম্বন্ধে আর কোনো তর্ক তুলিলেন না, কেবল আজ পনেরো বৎসর পূর্বে এই অভিশাপগ্ৰন্ত বাড়িতে যে ঘটনাটি ঘটিয়াছিল তাহারই বিস্তারিত বর্ণনা করিলেন । লোকটি এখানকার ইস্কুলমাস্টার। তাহার ক্ষুধা ও রোগ শীর্ণ মুখে মন্ত একটা টাকের নীচে একজোড়া বড়ো বড়ো চক্ষু আপন কোটরের ভিতর হইতে অস্বাভাবিক উজ্জ্বলতায় জ্বলিতেছিল ; তাহাকে দেখিয়া ইংরাজী-কবি কোলরিজের সৃষ্টি প্রাচীন নাবিকের কথা আমার মনে পড়িল । মাঝি নমাজ পড়া সমাধা করিয়া রন্ধনকার্থে মন দিয়াছে। সন্ধ্যার শেষ আভাটুকু মিলাইয়া আসিয়া ভুল উপকার জন্মৰ অন্ধকার যদি আপন পূর্যের প্রকাও গ্রেভসুরি মতো নিত্যন্ধ দাড়াইয়া