পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Or রবীন্দ্র-রচনাবলী নে। সতীশ ভাদুড়ি সাহেবদের সঙ্গে যখন মেশামোশি করছে তখন উপযুক্ত কাপড় না থাকলে ও বেচারার বড়ো মুশকিল। আমি র্যান্ডিনের বাড়িতে ওর জন্য ভূত্যের প্রবেশ ভূত্য । সাহেববাড়ি হতে এই কাপড় এয়েছে। মন্মথ । নিয়ে যা কাপড়, নিয়ে যা । এখনই নিয়ে যা । বিধুর প্রতি দেখো, সতীশকে যদি আমি এ কাপড় পরতে দেখি তবে তাকে বাড়িতে থাকতে দেব না, মেসে পাঠিয়ে দেব, সেখানে সে আপনি ইচ্ছামত চলতে পারবে । ਚ শশধর । অবাক কাণ্ড । বিধু। (সরোদনে) রায়মশায়, তোমাকে কী বলব, আমার বেঁচে সুখ নেই। নিজের ছেলের উপর বাপের এমন ব্যবহার কেউ কোথাও দেখেছে ? শশধর । আমার প্রতি ব্যবহারটাও তো ঠিক ভালো হল না । বোধ হয় মন্মথর হজমের গোল হয়েছে । আমার পরামর্শ শোনো, তুমি ওকে রোজ সেই একই ডালভাত খাইয়ো না । ও যতই বালুক-না কেন, মাঝে মাঝে মসলাওয়ালা রান্না না হলে মুখে রোচে না, হজমও হয় না । কিছুদিন ওকে ভালো করে খাওয়াও দেখি, তার পরে তুমি যা বলবে ও তাই শুনবে । এ সম্বন্ধে তোমার দিদি তোমার চেয়ে ভালো বোঝেন । শশধরের প্রস্থান । বিধুমুখীর ক্ৰন্দন বিধবা জা । ( ঘৱে প্ৰবেশ করিয়া, আত্মগত ) কখনো কান্না, কখনো হাসি- কত রকম যে সোহাগ তার ঠিক নেই- বেশ আছে । দীর্ঘনিশ্বাস ও মেজবাউ, গোসাঘরে বসেছিস ! ঠাকুরপোকে ডেকে দিই, মানভজনের পালা হয়ে যাক । অষ্টম পরিচ্ছেদ নলিনী । সতীশ, আমি তোমাকে কেন ডেকে পাঠিয়েছি বলি, রাগ কোরো না । সতীশ । তুমি ডেকেছ বলে রাগ করব, আমার মেজাজ কি এতই বদ । নলিনী । না, ও-সব কথা থাক । সকল সময়েই নদী-সাহেবের চেলাগিরি কোরো না । বলে দেখি, আমার জন্মদিনে তুমি আমাকে আমন দামী জিনিস কোন দিলে । সতীশ ধাকে দিয়েছি তার তুলনায় জিনিসটার দাম এমনই কি বেশি। नन्निभैी । स्रादान 6द्र नौ न ! সতীশ । নদীর নকল সাধে করি ! তার প্রতি যখন ব্যক্তিবিশেষের পক্ষপাতনলিনী । তবে যাও, তোমার সঙ্গে আর আমি কথা কব না । সতীশ । আচ্ছা, মাপ করো, আমি চুপ করে শুনব । নলিনী । দেখো সতীশ, মিস্টার নদী আমাকে নির্বোধের মতো একটা দামী ব্রেসলেট পাঠিয়েছিলেন, তুমি অমনি নিৰ্বদ্ধিতার সুর চড়িয়ে তার চেয়ে দামী একটা নেকলেস পাঠাতে গেলে (४० ।