পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88V রবীন্দ্র-রচনাবলী হরেন । এটা কী দাদা । এ যে ফুলের তোড়া । আমি নেব । সতীশ । ওতে হাত দিস নে, হাত দিস নে, ছিড়ে ফেলবি । DBBB S DS DB DBD BD DS BDBD BBSDDSS সতীশ । খোকা, কাল তোকে আমি অনেক তোড়া এনে দেব, এটা থাক । হরেন । দাদা, এট বেশ, আমি এইটেই নেব । সতীশ । না, এ আর-একজনের জিনিস, আমি তোকে দিতে পারব না । হরেন । আঁ্যা, মিথ্যে কথা ! আমি তোমাকে লজঞ্জস আনতে বলেছিলেম, তুমি সেই টাকায় তোড়া কিনে এনেছ- তাই বৈকি, আর-একজনের জিনিস বৈকি । সতীশ । হরেন, লক্ষ্মী ভাই, তুই একটুখানি চুপ কর, চিঠিখানা শেষ করে ফেলি। কাল তোকে আমি অনেক লজঞ্জাস কিনে এনে দেব। হরেন । আচ্ছা, তুমি কী লিখছ আমাকে দেখাও । সতীশ । আচ্ছা দেখাব, আগে লেখাটা শেষ করি । হরেন । তবে আমিও লিখি । স্লেট লইয়া চীৎকারস্বরে ভয়ে আকার ভা, ল, ভাল, বয়ে আকার বা সয়ে আকার সা ভালোবাসা । সতীশ । চুপ চুপ, অত চীৎকার করিস নে । আঃ, থাম থাম । হরেন । তবে আমাকে তোড়াটা দাও । সতীশ । আচ্ছ নে, কিন্তু খবরদার ছিডিস নে- ও কী করলি ! যা বারণ করলেম তাই ! ফুলটা ছিড়ে ফেললি ! এমন বদ ছেলেও তো দেখি নি । লক্ষ্মীছাড়া কোথাকার ! যা, এখান থেকে যা বলছি, যা । হরোনের চীৎকারস্বরে ক্ৰন্দন, সতীশের সবেগে প্ৰস্থান বিধুমুখীর ব্যস্ত হইয়া প্ৰবেশ বিধু । সতীশ বুঝি হরেনকে কঁাদিয়েছে, দিদি টের পেলে সর্বনাশ হবে । হরেন, বাপ আমার, কঁাদিস নে, লক্ষ্মী আমার, সোনা আমার । হরেন ! ( সরোদনে ) দাদা আমাকে মেরেছে । বিধু । আচ্ছা আচ্ছা, চুপ কর, চুপ কর । আমি দাদাকে খুব করে মারব এখন । হরেন । দাদা ফুলের তোড়া কেড়ে নিয়ে গেল । বিধু । আচ্ছা, সে আমি তার কাছ থেকে নিয়ে আসছি । হরোনের ক্ৰন্দন এমন ছিচৰ্কাদুনে ছেলেও তো আমি কখনো দেখি নি । দিদি আদর দিয়ে ছেলেটির মাথা খাচ্ছেন । যখন যেটি চায় তখনই সেটি তাকে দিতে হবে । দেখোনা, একবারে দোকান বঁাটিয়ে কাপড়ই কেনা হচ্ছে । যেন নবাবপুত্র । ছি ছি, নিজের ছেলেকে কি এমনি করেই মাটি করতে হয় । (সতর্জনে ) খোকা, চুপ কর বলছি। ঐ হামদেবুড়ো আসছে। সুকুমারীর প্রবেশ সুকুমারী। বিধু, ও কী ও ! আমার ছেলেকে কি এমনি করেই ভূতের ভয় দেখাতে হয় । আমি চাকর-বকিরদের বারণ করে দিয়েছি, কেউ ওর কাছে ভূতের কথা বলতে সাহস করে না। আর তুমি বুঝি, মাসি হয়ে ওর এই উপকার করতে বসেছি। কেন বিধু, আমার বাছা তোমার কী অপরাধ করেছে।