পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 by রবীন্দ্র-রচনাবলী নলিনী । দোহাই সতীশ, আমন নভেলি ছাদে কথা বানিয়ে বোলো না, আমার হাসি পায় । আমি তোমাকে আশা রাখতে বলব কেন । আশা যে রাখে। সে নিজের গরজেই রাখে, লোকের পরামর্শ শুনে রাখে না । সতীশ । সে তো ঠিক কথা । আমি জানতে চাই তুমি দারিদ্র্যাকে ঘূণা কর কি না । নলিনী । খুব করি, যদি সে দারিদ্র মিথ্যার দ্বারা নিজেকে ঢাকতে চেষ্টা করে । সতীশ । নেলি, তুমি কি কখনো তোমার চিরকালের অভ্যস্ত আরাম ছেড়ে গরিবের ঘরের লক্ষ্মী হতে পারবে । নলিনী ( নভোলে যেরকম ব্যারামের কথা পড়া যায়, সেটা তেমন করে চেপে ধরলে আরাম আপনি ঘরছাড়া হয় । সতীশ । সে ব্যারামের কোনো লক্ষণ কি তোমারনলিনী । সতীশ, তুমি কখনো কোনো পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হতে পারলে না । স্বয়ং নদী-সাহেবও বোধ হয়। অমন প্রশ্ন তুলতেন না । তোমাদের একচুলও প্রশ্রয় দেওয়া চলে না । সতীশ । তোমাকে আমি আজও চিনতে পারলেম না, নেলি । নলিনী ! চিনবে কেমন করে । আমি তো তোমার হাল ফেশানের টাই নাই, কলার নই।-- দিনরাত যা নিয়ে ভােব তাই তুমি চেন । সতীশ । আমি হাত জোড় করে বলছি নেলি, তুমি আজ আমাকে এমন কথা বোলো না । আমি যে কী নিয়ে ভাবি তা তুমি নিশ্চয় জান— নলিনী ! তোমার সম্বন্ধে আমার অন্তর্দষ্টি যে এত প্রখব তা এতটা নিঃসংশয়ে স্থির কোরো না । ঐ বাবা আসছেন । আমাকে এখানে দেখলে তিনি অনর্থক বিরক্ত হবেন, আমি যাই । { প্ৰস্থান সতীশ । মিস্টার ভাদুডি, আমি বিদায় নিতে এসেছি । ভাদুড়ি ! আচ্ছা, তবে আজ-- সতীশ । যাবার আগে একটা কথা আছে । ভাদুড়ি । কিন্তু সময় তো নেই, আমি এখন বেড়াতে বের হব । সতীশ । কিছুক্ষণের জন্য কি সঙ্গে যেতে পারি। ভাদুড়ি । তুমি যে পার তাতে সন্দেহ নেই, কিন্তু আমি পারব না । সম্প্রতি আমি সঙ্গীর অভাবে তত অধিক ব্যাকুল হয়ে পড়ি নি । পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ भलक्षद्ध ! आः, की दल । सृभि कि ११ाल शग्रछ नाकि । সুকুমারী । আমি পাগল না তুমি চোখে দেখতে পাও না ! শশধর । কোনোটাই আশ্চর্য নয়, দুটােই সম্ভব । কিন্তু সুকুমারী । আমাদের হারেনের জন্ম হতেই দেখ নি, ওদের মুখ কেমন হয়ে গেছে । সতীশের ভাবখানা দেখে বুঝতে পার না ! শশধর । আমার অত ভাব বুঝবার ক্ষমতা নেই, সে তো তুমি জােনই । মন জিনিসটাকে অদৃশ্য পদাৰ্থ বলেই শিশুকাল হতে আমার কেমন একটা সংস্কার বদ্ধমূল হয়ে গেছে। ঘটনা দেখলে তবু কতকটা বুঝতে পারি। সুকুমারী। সতীশ যখনই আড়ালে পায় তোমার ছেলেকে মারে, আবার বিধুও তার পিছনে পিছনে এসে খোকাকে জুজুর ভয় দেখায় ।