পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ஒசு . Q©ዓ এই কবিতাটাকেই অন্য লয়ে পড়া যায় চাহিছ বারে বারে আপনারে ঢাকিতে, ୪ଗ ୩) Nr. No (MI VIR (f(X2 छिन्-उिन्-उिन्-छिन्न मृशंग्रज्ञ खाणी বাতাস উদাস यcभ বোলের বাসে একেই ছয়-আটের ভাগে পড়া যায় ব্যাকুল বকুল করিল পড়িল ঘাসে, यांठान ७मान আমের বোলের বাসে ।

  • পািচ-চার-পাচের ভাগ

নীরবে গেলে স্নানমুখে আঁচল টানি কঁদিছে দুখে মোর বুকে ना-दव्ना यात्रैली । এই শ্লোককেই তিন-ছয়-পাচ ভাগ করা যায় নীরবে: গেলে স্নানমুখে আঁচল টানি কাদিছে দুখে মোর বুকে না-বলা বাণী । এর থেকে এই বোঝা যাচ্ছে, প্ৰদক্ষিণের সমষ্টিমাত্রা চোদ হলেও সেই সমষ্টির অংশের হিসাব কে কী ভাবে নিকাশ করছে তারই উপর ছন্দের প্রভেদ ধরা পড়ে । কেবল ছন্দরসায়নে নয়, বস্তুরাসায়নেও এইরকম উপাদানের মাত্রা-ভাগ নিয়েই বস্তুর প্রকৃতিভেদ ঘটে, রাসায়নিকেরা বোধ করি এই কথা বলেন । পয়ার-ছন্দের বিশেষত্ব হচ্ছে এই যে, তাকে প্ৰায় গাঠে গাঠে ভাগ করা চলে, এবং প্রত্যেক ভাগেই মূল ছন্দের একটা আংশিক রূপ দেখা যায়। যথা ওহে পাহ, চলো পথে, পথে বন্ধু আছে একা বসে স্নানমুখে সে যে সঙ্গ যাচে । "ওহে পান্থ, এইখানে একটা থামবার স্টেশন মেলে। তার পরে যথাক্রমে, ‘ওহে পান্থ চলো, "ওহে পান্থ চলো পথে’, ‘ওহে পান্থ চলে পথে পথে । তার পরে ‘বন্ধু আছে, এই ভগ্নাংশটার সঙ্গে পরের লাইন জোড়া যায়, যেমন- ‘বন্ধু আছে একা’, ‘বন্ধু আছে একা বসে’, ‘কছু আছে একা বসে সে যে’ । কিন্তু তিনের ছন্দকে তার ভাগে ভাগে পাওয়া যায় না, এইজন্যে তিনের ছন্দে ইচ্ছামত থামা চলে না । যেমন, ‘নিশি দিল ডুব অরুণাসাগরে । ‘নিশি দিল, এখানে থামা যায়, কিন্তু তা হলে তিনের ছন্দ ভেঙে যায় ; ‘নিশি দিল ডুব পর্যন্ত এসে ছয় মাত্রা পুরিয়ে দিয়ে তবেই তিনের ছন্দ হাফ ছাড়তে পারে। কিন্তু আবার, "নিশি দিল ডুব অরুপ এখানেও থামা যায় না ; কেননা তিনি এমন একটি মাত্রা যা আর একটা তিনকে পেলে তবে দাড়াতে পারে, নইলে টলে পড়তে চায় ; এইজন্য "অরুণাসাগর’ এর মাঝখানে