পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

് O আপনি বলিয়াছেন, বাংলা বাক্য -উচ্চারণে বাক্যের আরম্ভে আমরা ক্টোক দিয়া থাকি । এই ঝোকের দৌড়টা যে কতদূর পর্যন্ত হইবে তাহার কোনো বাধা নিয়ম নাই, সেটা আমাদের ইচ্ছা। যদি জোর দিতে না চাই। তবে সমান্ত বাক্যটা একটানা বলিতে পারি, যদি জোর দিতে চাই। তবে বাক্যের পর্বে পর্বেই ঝোক দিয়া থাকি । ‘আদিম মানবের তুমুল পাশাবতা মনে করিয়া দেখো"- এই বাক্যটা আমরা এমনি করিয়া পড়িতে পারি। যাহাতে উহার সকল শব্দই একেবারে মাথায় মাথায় সমান হইয়া থাকে । আবার উত্তেজনার বেগে নিম্নলিখিত-মাত করিয়াও পড়া যাইতে পারে আদিম মানবের তুমুল পাশাবতা মনে করিয়া দেখো । এই বাংলা শব্দগুলির নিজের কোনো বিশেষ দাবি নাই, আমাদের মর্জির উপরেই নির্ভর । কিন্তু, Realize the riotous animality of primitive man— d. KITICKEJ ZTK ZTROJKE MR fRU নিজ একসেন্টের ধ্বজা গাড়িয়া বসিয়া আছে বলিয়া নিশ্বাস তাহাদিগকে খাতির করিয়া চলিতে বাধ্য। বাংলা ছন্দে যে পদবিভাগ হয় সেই প্ৰত্যেক পদের গোড়াতেই একটি করিয়া বোকালো শব্দ কাপ্তোনি করে এবং তাহার পিছন পিছন কয়েকটি অনুগত শব্দ সমান তালে পা ফেলিয়া কুচ করিয়া চলিয়া যায় । এইরূপ এক-একটি ক্টোক-কাপ্তেনের অধীনে কয়টা করিয়া মাত্ৰ-সিপাই থাকিবে ছন্দের নিয়ম-অনুসারে তাহার বরাদ্দ হইয়া থাকে । পয়ারের রীতিটা দেখা যাক । পয়ারটা চতুষ্পদ ছন্দ । আমার বিশ্বাস, পয়ার শব্দটা পদ-চার শব্দের বিকার । ইহার এক-একটি পদ এক-একটি ঝোকের শাসনে চলে । মহাভারতের কথা । অমৃতসমান । কাশীরামদাস কহে । শুনে পুণ্যবান। ‘অমৃতসমান’ ও ‘শুনে পুণ্যবান এই দুই অংশে ছয়টি অক্ষর দেখা যাইতেছে বটে, কিন্তু মাত্রা গণনায় ইহারা আট। ঐখানে লাইন শেষ হয় বলিয়া দুটি মাত্রাপরিমাণ জায়গা ফাক থাকে । যাহারা সুর করিয়া পড়ে তাহারা “মান এবং ‘বান’ শব্দের আকারটিকে দীর্ঘাকার করিয়া ঐ ফাক ভরাইয়া দেয় । এক-একটি ঝোকে কয়টি করিয়া মাত্রা আগলাইতেছে তাহা দেখিয়াই ছন্দের বিচার করিতে হয় । নতুবা যদি মোটা করিয়া বলি যে, এক-এক লাইনে চোদ্দটা করিয়া অক্ষর থাকিলে তাহাকে পয়ার বলে তবে নানা ভিন্ন প্রকারের ছন্দকে পয়ার বলিতে হয় । নিম্নলিখিত ছন্দে প্ৰত্যেক লাইনে চোদটা অক্ষর আছে- - ফাগুন যামিনী, প্ৰদীপ জ্বলিছে ঘরে । দখিন-বাতাস মরিছে বুকের পরে। ইহাকে যে পয়ার বলি না। তাহার কারণ ইহার এক-একটি ঝোকের দখলে ছয়টি করিয়া মাত্ৰা । ইহার ভাগ নীচে লিখিলাম ফাগুন যামিনী । প্ৰদীপ জ্বলিছে। ঘরে- । চোদ্দা-অক্ষরী লাইনের আরো দৃষ্টান্ত আছে পূরব-মেঘমুখে । পড়েছে। রবিরেখা । অরুণ-রথচূড়া। আধেক গেল দেখা । এখানে স্পষ্টই এক-এক ঝোকে সাতটি করিয়া মাত্রা । সুতরাং পয়ারের তুলনায় প্রত্যেক পদে ইহার G5 | 3 | তবেই দেখা যাইতেছে, আট মাত্রার ছন্দকেই পয়ার বলে। আট মাত্রাকে দুখানা করিয়া চার মাত্রায় ভাগ করা চলে, কিন্তু সেটাতে পয়ারের চাল খাটো করা হয় । বস্তুত লম্বা নিশ্বাসের মন্দগতি চালেই পয়ারের পদমর্যাদা । চার-চার মাত্রায় পা ফেলিয়া পয়ার যখন দুলকি চালে চলে তখন তাহার পায়ে পায়ে মিল থাকে । যেমন वाएल जैीव्र, अप्5 दीन क्षमीव्र 'नए ।