পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V OVO আঁখিতে । মিলিল । আঁখি । হাসিল ! বদন । ঢাকি । মরম-বারতা শরমে মরিল কিছু না রহিল বাকি । উক্ত ছন্দে তিনের দল বুক ফুলাইয়া জুড়ি মিলাইয়া চলিতেছিল, হঠাৎ মাঝে মাঝে একটা খাপছাড়া দুই আসিয়া তাহাদিগকে বাধা দিয়াছে। এইরূপে গতি ও বাধার মিলনে ছন্দের সংগীত একটু বিশেষ ভাবে বাজিয়া উঠিয়াছে। এই বাধাটি গতির অনুপাতে ছোটাে হওয়া চাই । কারণ, বড়ো হইলে সে বাধা সত্য হয়, এবং গতিকে আবদ্ধ করে, সেটা ছন্দের পক্ষে দুর্ঘটনা । তাই উপরের দুইটি দৃষ্টান্তে দেখিয়াছি চারের দল ও তিনের দলকে দুই আসিয়া রোধ করিয়াছে, সেইজন্য ইহা বন্ধনের অবরোধ নহে, ইহা লীলার উপরোধ । দুইয়ের পরিবর্তে এক হইলেও ক্ষতি হয় না । যেমন প্রতিদিন হয় । এসে ফিরে যায় । কে । ISIQK মুখে তার । নাহি আর । রা । লাজে লীন । কাপে ক্ষীণ । গা । বাংলা ছন্দকে তিন প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা যায় । দুই বর্গের মাত্রা, তিন বর্গের মাত্রা এবং অসমান Ns দুই বৰ্গ মাত্রার ছন্দ, যেমন পয়ার, ত্রিপদী, চৌপদী । এই-সমস্ত ছন্দ বড়ো বড়ো বোঝা বহিতে পারে, কেননা দুই, চার, আট মাত্রাগুলি বেশ চোকা । এইজন্য পৃথিবীতে পা-ওয়ালা জীবমাত্রেরই হয় দুই, নয় চার, নয়। আট পা । বাংলাসাহিত্যে ইহারাই মহাকাব্যের বাহন । চাকার গুণ এই যে একবার ধাক্কা পাইলে সেই ঝোকে সে গড়াইয়া চলে, থামিতে চায় না । তিন মাত্রার ছন্দ সেই চাকার মতো । দুই সংখ্যাটা স্থিতিপ্রবণ, তিন সংখ্যাটা গতিপ্রবণ । নবীন | কিশোরী | মেঘের | বিজুরি । চমকি | চলিয়া | গেল । এখানে তিন মাত্রার শব্দগুলি একটা আর-একটার গায়ের উপর গড়াইয়া পডিয়া ঠেলা দিয়া চলিয়াছে, থামানো দায় । অবশেষে একটি দুই মাত্রা আসিয়া তাহাকে ক্ষণকালের জন্য ঠেকাইয়াছে। দুই মাত্রার সঙ্গে তিন মাত্রার মিলনে অসম মাত্রার ছন্দের উৎপত্তি ।। ৩+২, ৩ + ৪, ৫+৪ মাত্রার ছন্দ তাহার দৃষ্টান্ত । vo -- N. Re কঁাপিলে পাতা, নড়িলে পাখি চমকি উঠে চকিত আঁখি । wo- 8 তরল জলধর বরিখে ঝরঝর @十8一 বচন বলে আধো-আধো, bg b Kis-Kifl, नद्मन- उCछ फैigा-कैIgा bाइनेि । তিন মাত্রার ছন্দের ন্যায় অসম মাত্রার ছন্দও স্বভাবত চঞ্চল। মাত্রার অসমানতাই তাহাকে কেবল টলাইতে থাকে। প্রত্যেক পদ পরবতী পদের উপর ঠেস দিয়া আপনাকে সামলাইতে চেষ্টা করে । বস্তুত তিন মাত্রাও অসম মাত্রা, তাহার উপাদান দুই-+এক । à à il v28