পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\۹ 8 রবীন্দ্র-রচনাবলী সেথা ভিড় করে যত লোকালয় ভাঙন-লুকানো তটে । মুখরিত হয় স্থিতিভিক্ষার বন্দনাধবনি সেথা বার বার, কল্পিত করে প্রার্থনা তার শিৱিত মন্দিরে । প্রবাসীতে উক্ত কবিতার চতুর্থ স্তবকের পর (“সেঁজুতি'র পাঠে তৃতীয় স্তবকের পর) নিম্নমুদ্রিত একটি সম্পূৰ্ণ নূতন স্তবক পাওয়া যায় উধাও বাতাসে মেঘ ভেসে আসে। বহিয়া রঙিন ছায়া । তোমারি ছন্দে রচিছে আকাশে ক্ষণিকের চিরামায়া । বনের প্রবাহ তব তীরে তীরে সবুজ পাতার বন্যার নীরে কতু ঝড়ে কীভূ শান্ত সমীরে তোমারি ছন্দ যাচে । তোমারি ছন্দে পাখির ওড়া সে, তোমারি ছন্দে ফুল ফোটে ঘাসে, অনিত্য তারা তব ইতিহাসে নিত্য নাচনে নাচে । ‘তীৰ্থযাত্ৰিণী কবিতাটির উপসংহারে প্রবাসীতে (অগ্রহায়ণ ১৩৪৪) এই দুইটি অতিরিক্ত পঙক্তি মুদ্রিত হইয়াছিল সংসারে মরীচিকারে বিশ্বাস করিয়াছিল ও যে, সংসার বাহির-তীরে পুন ফিরে তারি ব্যর্থ খোজে । “জন্মদিন' কবিতাটির চতুর্থ স্তবকের পরে প্রবাসীতে (আষাঢ় ১৩৪৪) এই বর্জিত স্তবকটি পাওয়া যায় আজ কোন ওর মনে লাগে, এবার যাত্রাশেষে নীেকো আবার পাড়ি দিল আরেক ছুটির দেশে । এ ঘাট থেকে বোঝাই ক'রে চলেছে স্রোত বাহি সেই পসরা হিসাব যাহার নাহি, আপনাতে যা আপনি অফুরান, ভাঙা বাশির মীেন-পারে। জমেছে যার গান । তপতী। “তপতী।” ১৩৩৬ সালের ভাদ্র মাসে প্রথম গ্রন্থাকারে মুদ্রিত হয় । নাটকটির রচনা-পরিচয় “ভূমিকাতে রবীন্দ্রনাথ নিজেই বিশদভাবে লিখিয়াছেন। এখানে উল্লেখ করা যাইতে পারে যে, ‘রাজা ও রানী রবীন্দ্র-রচনাবলীর প্রথম খণ্ডে মুদ্রিত হইয়াছে, উক্ত নাটকের গ্রহপরিচয় অংশ এই প্রসঙ্গে দ্রষ্টব্য ।