পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bro একদিন এক চোর এসেছে তখন অনেক রাত, জানিলা দিয়ে সাবধানে সে বাড়িয়ে দিল হত । খুড়ি তখন চাটনি করতে তেল নিচ্ছেন মেপে, ধড়াস করে চোরের হাতে জানােলা দিলেন চেপে । চোর বললে “উহু উত্তহী ; খুড়ি বললেন, “আহা, বা হাত মাত্ৰ, এইখানেতেই থেকে যাক-না তাহা ।” কেঁদো-কেটে কোনোমতে চোর তো পেল খালাস ; খুড়ি বললেন, “মরবি, যদি এ ব্যাবসা তোর চালাস।” দাদা বললেন, “ চোরা পালালো, এখন গজ থামাই, ছদিন হয় নি ক্ষেীর করা, এবার গিয়ে কমাই ।” আমরা টেনে বসাই ; বলি, “গল্প কোন ছাড়বে ।” দাদা বলেন, “রবার নাকি, টানলেই কি বাড়বে । কে ফেরাতে পারে তোদের আবদারের এই জোর, তার চেয়ে যে অনেক সহজ ফেরানো সেই চোর, আচ্ছ। তবে শোন, সে মাসে গ্ৰহণ লাগিল চাদে, শহর যেন ঘিরিল নিবিড় মানুষ-বোনা ফ্রাদে । আমার তখন পূৰ্ণগ্ৰহণ ভিড়ের রাহুগ্ৰাসে । প্ৰাণটা যখন কণ্ঠাগত, মরছি। যখন ডরে, গুণ্ডা এসে তুলে নিল হঠাৎ কাধের পরে । তখন মনে হল, এ তো বিষ্ণুদূতের দয়া, আর-একটুকু দেরি হলেই প্ৰাপ্ত হতেম গয়া । বিষ্ণুদূতটা ধরল। যখন যমদূতের মূর্তি এক নিমেষেই একেবারেই ঘুচিল আমার ফুর্তি । সাত গলি সে পেরিয়ে শেষে একটা এধোঘরে বসিয়ে আমায় রেখে দিল খড়ের আঁঠির ‘পারে । কেঁদে কইলাম, ‘ও পাড়েজি, এই নিয়ে দাও ছেড়ে ।” LsL BBSLLBBDS Lg uDDD DBDS আরো নেব চারটি হাজার নয়শো নিরেনকেবইতার উপরে আর দু আনা, খুড়িটা তো মরবো, টাকার বোঝা বয়ে সে কি বৈতরণী তরবে ? দেয় যদি তো দিক চুকিয়ে, নইলে-” পাকিয়ে চোখ যে ভঙ্গিটা দেখিয়ে দিলে সেটা মারাত্মক । “এমনসময়, ভাগ্যি ভালো, গুণ্ডাজির এক ভাগ্নি মূর্তিটা তার রণচণ্ডী, যেন সে রায়বাঘনি, আমার মরণ দশার মধ্যে হলেন সমাগত দাবানলের উথের্ব যেন কালো মেঘের মতো । যেমনি দেখা অমনি আমি রইনু চক্ষু বুজি ।