পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলমোড়া ծ օ|ՖԻ9Գ ছড়ার ছবি পরের দিনে পাশের ঘরে, কী গলা তার বাপ ! মামার সঙ্গে ঠাণ্ডা ভাষায় নয়। সে বাক্যালাপ । বলছে, “তোমার মরণ হয় না, কাহার বাছনি ও, পাপের বোঝা বাড়িয়ে না। আর, ঘরে ফেরত দিয়েআহা, এমন সোনার টুকরো-' শুনে আগুন মামা ; বিশ্ৰী রকম গাল দিয়ে কয়,"মিহি সুরাটা থামা ।” একেই বলে মিহি সুরকি, আমি ভাবছি শুনে । দিন তো গেল কোনোমতে কড়ি বরগা শুনে । রাত্রি হবে দুপুর, ভাগ্নি ঢুকাল ঘরে ধীরে ; চুপি চুপি বললে কানে, ‘যেতে কি চাস ফিরে ।” লাফিয়ে উঠে কেঁদে বললেম, ‘যাব যাব যাব ।” ভাগ্নি বললে, “আমার সঙ্গে সিঁড়ি বেয়ে নাবো।-- কোথায় তোমার খুড়ির বাসা আগন্তকুণ্ডে কি, যে ক'রে হােক আজকে রাতেই খুঁজে একবার দেখি ; কালকে মামার হাতে আমার হবেই মুণ্ডপাত ।”- আমি তো, ভাই, বেঁচে গেলেম, ফুরিয়ে গেল রাত ।” হেসে বললেম, যোগীনন্দাদার গভীর মুখ দেখে, ঠিক এমনি গল্প বাবা শুনিয়েছে বই থেকে । দাদা বললেন, “বিধি যদি চুরি করেন নিজে পরের গল্প, জানি নে ভাই, আমি করব কী যে ।” প্রবাসে বিদেশ-মুখো মন যে আমার কোন বাউলের চেলা, গ্রাম-ছাড়ানো পথের বাতাস সর্বদা দেয় ঠেলা । তাই তো সেদিন দুটির দিনে টাইমটেবিল পড়ে seG TSM av বাক্সো নিলেম ভর্তি করে, নিলেম বুলি থলে, বাংলাদেশের বাইরে গেলেম গজাপারে চলে । লোকের মুখে গল্প শুনে গোলাপ-খেতের টানে মনটা গেল এক দীেড়ে গাজিপুরের পানে । সামনে চেয়ে চেয়ে দেখি, গাম-জোয়ারির খেতে नशैन अङ्कीद्वाCङ বাতাস কখন হঠাৎ এসে সোহাগ করে যায় হাত বুলিয়ে কঁচা শ্যামল কোমল কচি গায় । আটচালা ঘর, ডাহিন দিকে সবজি-বাগানখানা শুশ্ৰুষা পায় সারা দুপুর, জোড়া-বলিদটানা । try