রবীন্দ্র-রচনাবলী নক্ষত্রসভায়। মাঝে মাঝে স্বরপুরে নৃত্যপরা মেনকার কনকনৃপুরে তালভঙ্গ হত। হেলি উর্বশীর স্তনে স্বর্ণবীণা থেকে থেকে যেন অন্তমনে অকস্মাৎ ঝংকারিত কঠিন পীড়নে নিদারুণ করুণ মূৰ্ছনা। দিত দেখা দেবতার অশ্রুহীন চোখে জলরেখা নিষ্কারণে। পতিপাশে বসি একাসনে সহসা চাহিত শচী ইন্দ্রের নয়নে যেন খুজি পিপাসার বারি। ধরা হতে মাঝে মাঝে উচ্ছসি আসিত বায়ুস্রোতে ধরণীর সুদীর্ঘ নিশ্বাস– খসি ঝরি পড়িত নন্দনবনে কুসুমমঞ্জরী। থাকে স্বৰ্গ হাস্যমুখে, করে সুধাপান দেবগণ। স্বর্গ তোমাদেরি মুখস্থান— মোরা পরবাসী। মর্ত্যভূমি স্বর্গ নহে, সে যে মাতৃভূমি— তাই তার চক্ষে বহে অশ্রজলধারা, যদি দু দিনের পরে কেহ তারে ছেড়ে যায় দু দণ্ডের তরে। যত ক্ষুদ্র, যত ক্ষীণ, যত অভাজন, যত পাপীতাপী, মেলি ব্যগ্র আলিঙ্গন জননীর । স্বর্গে তব বহুক অমৃত, মর্ত্যে থাক্ মুখে দুঃখে অনস্তমিশ্রিত প্রেমধারা— অশ্রজলে চিরপ্তাম করি ভূতলের স্বৰ্গখণ্ডগুলি । cइ अछात्रैौ,
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০০
অবয়ব