পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কচ | দেবযানী । বিদায়-অভিশাপ গন্ধ তার লুকাবে কোথায়। কতদিন যেমনি তুলেছ মুখ, চেয়েছ যেমনি, যেমনি শুনেছ তুমি মোর কণ্ঠধ্বনি, অমনি সর্বাঙ্গে তব কম্পিয়াছে হিয়— নড়িলে হীরক যথা পড়ে ঠিকরিয়া আলোক তাহার'। সে কি আমি দেখি নাই ? ধরা পড়িয়াছ, বন্ধু, বন্দী তুমি তাই মোর কাছে। এ বন্ধন নারিবে কাটিতে । ইন্দ্র আর তব ইন্দ্র নহে। শুচিন্মিতে, সহস্ৰ বৎসর ধরি এ দৈত্যপুরীতে এরি লাগি করেছি সাধনা ? কেন নহে ? বিদ্যারই লাগিয়া শুধু লোকে দুঃখ সহে এ জগতে ? করে নি কি রমণীর লাগি কোনো নর মহাতপ। পত্নীবর মাগি করেন নি সম্বরণ তপতীর আশে প্রখর স্বর্ষের পানে তাকায়ে আকাশে অনাহারে কঠোর সাধনা কত ? হায়, বিস্তাই দুর্লভ শুধু, প্রেম কি হেথায় এতই স্থলভ ? সহস্ৰ বৎসর ধরে সাধনা করেছ তুমি কী ধনের তরে আপনি জান না তাহা । বিষ্ঠা এক ধারে আমি এক ধারে— কভু মোরে কন্তু তারে চেয়েছ সোৎস্থকে ; তব অনিশ্চিত মন দোহারেই করিয়াছে স্বত্বে আরাধন সংগোপনে। আজ মোরা দোহে এক জিনে আসিয়াছি ধরা দিতে। লহু, সখা, চিনে যায়ে চাও। বল যদি সরল সাহসে । “বিস্তায় নাহিকে মুখ, নাহি স্থখ যশে— >も>