পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মালিনী । মহিষী । মালিনী জানিস, আমার পিতা তোর পিতা চেয়ে শতগুণে ধনী, তাই ধনরত্নমানে 聯 এত তার হেলা । সে তে সকলেই জানে । যেদিন পিতৃব্য তব, পিতৃধনলোভে বঞ্চিলেন পিতারে তোমার, মনঃক্ষোভে ছাড়িলেন গৃহ তিনি। সর্ব ধনজন সম্পদ সহায় করিলেন বিসর্জন অকাতর মনে ; শুধু সযত্বে আনিলা পৈতৃক দেবতামূর্তি শালগ্রামশিলা দরিদ্রকুটিরে। সেই তার ধর্মখানি মোর জন্মকালে মোরে দিয়েছ, মা, আনি— আর কিছু নহে। থাকৃ না মা, সর্বক্ষণ তব পিতৃভবনের দরিদ্রের ধন তোমারি কস্তার হৃদে ৷ আমার পিতার বা-কিছু ঐশ্বৰ্ধ আছে ধনরত্বভার থাক্ রাজপুত্রতরে। কে তোমারে বোঝে মা আমার ! কথা শুনে জানি না কেন যে চক্ষে আসে জল । যেদিন আসিলি কোলে বাক্যহীন মূঢ় শিশু, ক্ৰন্দনকল্পোলে মায়েরে ব্যাকুল করি, কে জানিত তবে সেই ক্ষুদ্র মুগ্ধ মুখ এত কথা কবে দুই দিন পরে। থাকি তোর মুখ চেয়ে, ভয়ে কাপে বুক । ও মোর সোনার মেয়ে, এ ধর্ম কোথায় পেলি, কী শাস্ত্রবচন ? আমার পিতার ধর্ম সে তো পুরাতন অনাদি কালের । কিন্তু মা গো, এ যে তব স্বাক্টছাড়া বেদছাড়া ধর্ম অভিনব . আজিকার গড়া। কোথা হতে ঘরে আসে S8 S