পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৬ মালিনী । রবীন্দ্র-রচনাবলী ডুবিতে হইবে তারে। বন্ধু চিরন্তন, তোমারে ডুবাব আমি, ছিল এ লিখন । ডুবায়েছ তারে ? দেবী, ডুবায়েছি তারে। জীবনের সব কথা বলেছি তোমারে, শুধু, সেই কথা আছে বাকি । যেই দিন বিদ্বেষ উঠিল গর্জি দয়াধর্মহীন তোমারে ঘেরিয়া চারি দিকে, একাকিনী দাড়াইয়া পূর্ণ মহিমায়, কী রাগিণী বাজাইলে ! বংশীরবে যেন মন্ত্রাহত বিদ্রোহ করিল আসি ফণা অবনত তব পদতলে। শুধু বিপ্র ক্ষেমংকর রহিল পাষাণচিত্ত, অটল-আস্তর। একদা ধরিয়া কর কহিল সে মোরে বন্ধু, আমি চলিলাম দূর দেশাস্তরে। আনিয়া বিদেশী সৈন্য বরুণার কূলে নবধর্ম উৎপাটন করিব সমূলে পুণ্য কাশী হতে। চলি গেল রিক্ত হাতে অজ্ঞাত ভুবনে। শুধু লয়ে গেল সাথে আমার হৃদয়, আর, প্রতিজ্ঞ কঠোর। তার পরে জান তুমি কী ঘটিল মোর। লভিলাম যেন আমি নবজন্মভূমি যেদিন এ শুষ্ক চিত্তে বরষিলে তুমি মুধাবৃষ্টি । ‘সর্ব জীবে দয়া জানে সবে— অতি পুরাতন কথা— তৰু এই ভবে এই কথা বসি আছে লক্ষবর্ষ ধরি সংসারের পরতীরে। তারে পার করি তুমি আজি আনিয়াছ সোনার তরীতে সবার ঘরের দ্বারে । হৃদয়-অমৃতে