পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बकूटéब्र थांठा >>> উড়েমালী নিয়ে কারবার! কত মিথ্যে গাছের নাম করে কত লোক যে তোমাকে ঠকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তার আর সংখ্যে করা যায় না। অৰু, তুই বিয়েখাওয়া করবিনে ? অবিনাশ । তার চেয়ে অন্ত বাতিকগুলো ষে ভালে । বয়স প্রায় চল্লিশ হল, আর কেন ? 專 疇 বৈকুণ্ঠ। সে কী এরই মধ্যে চল্লিশ ? অবিনাশ । এরই মধ্যে আর কই ? ঠিক পুরো সময়ই লেগেছে— যেমন অন্ত লোকের হয়ে থাকে । বৈকুণ্ঠ। আমারই অন্যায় হয়েছে ! ছি ছি, লোকে স্বার্থপর বলবে। আর দেরি করা নয় । অবিনাশ। একটি লোক বসে আছে আমি তবে চললুম। [ প্রস্থান বৈকুণ্ঠ । নিশ্চয় সেই মানিকতলার মালী। একেই বলে বাতিক। কেদারের প্রবেশ বৈকুণ্ঠ । এই যে কেদারবাবু ফিরে এসেছেন— বড়ে খুশি হলুম— তা হলে— কেদার। দেখুন, ওর নাম কী, আপনার লাইব্রেরিতে সকল রকম সংগীতের বই আছে, কিন্তু, কী বলে, চীনেদের সংগীতপুস্তক বোধ করি নেই। বৈকুণ্ঠ । ( ব্যস্ত হইয়া ) আজ্ঞে না। আপনি কোথাও সন্ধান পেয়েছেন ? কেদার। একখানি জোগাড় করে এনেছি, আপনাকে উপহার দিতে চাই । বইখানি, ওর নাম কী, বহুমূল্য। এই দেখুন। (স্বগত) বেট চীনেম্যানের কাছ থেকে তার পুরানো জুতোর হিসেব চেয়ে এনেছি। বৈকুণ্ঠ । তাই তো । এ যে আদত চীনে ভাষা দেখছি। কিছু বোঝবার জো নেই। আশ্চর্ষ ! একেবারে সোজা অক্ষর ! বা, বা, চমৎকার! তা এর দাম— কেদার। মাপ করবেন, ওর নাম কী— বৈকুণ্ঠ। না, সে হবে না! আপনি যে কষ্ট করে বইখানি খুজে এনেছেন এতেই আমি আপনার কেন হয়ে রইলুম, আমার ঋণ আর বাড়াবেন না! । কেদার। ( নিশ্বাস ফেলিয় ) কিন্তু কী বলব, দামটা— বোধ হয় ঠকেছি। বৈকুণ্ঠ। আজ্ঞে না, তা কখনো হতেই পারে না। জামি জানি কিনা, এ সব জিনিসের দাম বেশি। কেদার। জাঙ্গে, বেটা তো পয়ত্রিশ টাকা চেয়ে বলেছে, বোধ করি, ওর নাম কী, ত্রিশেই রক্ষা হবে। i.