পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झरीौडङ्ग-व्रालनांबणौ جهاد বৈকুণ্ঠ। পয়ত্ৰিশ ! এ তো জলের দর! টাকাটা এখনই দিয়ে দিন— আবার স্বছি মত বদলায় । চীনেম্যান বোধ হয় নিতান্ত দায়ে পড়েছে। কেদার। দায় বলে দায়! শুনলুম দেশে তার তিন গুগলী আছে, তিনটিকেই এক কুলীন চীনেম্যানের সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে। কন্যাদায় দায়, কিন্তু, কী বলে ভালো, খালীদায়ের সঙ্গে তার তুলনাই হয় না। বৈকুণ্ঠ । (হাসিয়া ) বল কী কেদারবাবু! কেদার। সাধে বলি ! ভুক্তভোগীর কথা। ওর নাম কী, শ্বশুরবাড়িতে শুশলী অতি উত্তম জিনিস— অমন জিনিস আর হয় না— কিন্তু সেখান থেকে চু্যত হয়ে হঠাৎ স্বন্ধের উপর এসে পড়লে, ওর নাম কী, সকলে সামলাতে পারে না । বৈকুণ্ঠ । সামলাতে পারে না! হা হা, হ হ ! কেদার। আজ্ঞে, আমি তো পারছিনে। একে শুালী তাতে নিখুত সুন্দরী, তাতে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়েছেন, ওর নাম কী, ঘরে তো আর টেকা যায় না ! চোখ মেলে চাইলে স্ত্রী ভাবে শুশলীকে খুঁজছি, ওর নাম কী, চোখ বুজে থাকলে স্ত্রী ভাবে আমি শুশলীর ধ্যান করছি। কাসলে মনে করে কাসির মধ্যে একটি অর্থ আছে, আবার, কী বলে ভালো, প্রাণপণে কাসি চেপে থাকলে মনে করে তার অর্থ আরও সন্দেহজনক । অবিনাশের প্রবেশ অবিনাশ। কী দাদা, খাবার ঠাণ্ড হয়ে এল, এখনো লেখা নিয়ে বসে আছ । বৈকুণ্ঠ। না, না, লেখাটেখা কিছু নয়, কেদারবাবুর সঙ্গে গল্প করছি। অবিনাশ। তাই তো, কেদার দেখছি! কী সর্বনাশ ! তুমি কোথা থেকে হে। দাদাকে পেয়ে বসেছ বুঝি। কেদার। হা হা হা হাঃ! অবিনাশ চিরকালই তুমি ছেলেমাস্থ্য রয়ে গেলে হে। অবিনাশ। দাদা, তোমার লেখা শোনাবার আর লোক পেলে না ? শেষকালে কেদারকে ধরেছ? ও যে তোমাকে ধরলে আর ছাড়বে না। বৈকুণ্ঠ। আঃ অনিবাশ, ছিঃ, কী বকছ ? কেদার। বৈকুণ্ঠবাবু আপনি ব্যস্ত হবেন না, ওর নাম কী, অবিনাশের সঙ্গে এক ক্লাসে পড়েছি, আমার সঙ্গে দেখা হলেই ওর আর ঠাট্ট ছাড়া কথা নেই। অবিনাশ। তোমার ঠাট্ট যে আমার ঠাট্টার চেয়ে গুরুতর। এই সেদিন