পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b&tు ज्ञर्दौडज़-ब्रछनांवलौ দ্বিতীয় দৃশ্য কেদার ও অবিনাশ কেদার। ওর নাম কী, আজ তবে উঠি, অনেক বিরক্ত করা গেছে— অবিনাশ। বিলক্ষণ! বিরক্ত আবার কিসের । একটু বসে যাও না ! শোনো না— আমি চলে আসার পর সেদিন মনোরম আমার কথা কিছু বললে ? কেদার। সে আবার কি বলবে! তোমার নাম করবামাত্র তার গাল, ওর নাম কী, বিলিতি বেণ্ডনের মতো টকটক করে ওঠে । অবিনাশ । ( হাসিতে হাসিতে ) বল কী কেদার, এত লজ্জা ! কেদার। কী বলে, ওইটেই তো হল খারাপ লক্ষণ ! অবিনাশ । ( ধাক্কা দিয়া ) দুর! কী বলিস তার ঠিই নেই! খারাপ লক্ষণটা কী হল শুনি ! কেদার। ওর নাম কী, ওটা স্বভাবের নিয়ম । যেমন তীর ছোড়া— গোড়ায় পিছনের দিকে প্রাণপণে পড়ে টান, তার পরে, ওর নাম কী ছাড়া পাবামাত্রই সামনের দিকে একেবারে বেী করে দেয় ছুট! গোড়ায় যেখানে বেশি লজ্জা দেখা ষাচ্ছে, ওর নাম কী, ভালোবাসার দৌড়টাও সেখানে বড় বেশি হবে। অবিনাশ । বল কী কেদার! তা, কী রকম লজ্জাট তার দেখলে, শুনিই না! তোমরা বুঝি আমার নাম করে তাকে ঠাট্টা করেছিলে ? কেদার। ভাই, সে অনেক কথা। আজ একটু কাজ আছে, আজ তবে - অবিনাশ । আঃ, বোসে না কেদার ! শোনো না, একটা কথা আছে। বুঝেছ কেদার, একটা আংটি কেনা গেছে। বুঝেছ ? কেদার। খুব সহজ কথা, ওর নাম কী, বুঝেছি। অবিনাশ । সহজ ? আচ্ছ, কী বুঝেছ বলে দেখি । কেদার। টাকা থাকলে আংটি কেনা সহজ, ওর নাম কী, এই বুঝেছি। অবিনাশ । কিছু বোঝনি। এই আংটিটি আমি তোমার হাত দিয়ে মনোরমাকে উপহার পাঠাতে চাই। তাতে কিছু দোষ আছে ? কেদার। আমি তো কিছু দেখিনে। যদি বা থাকে তো দোষটুকু বাদ দিয়ে, ওর নাম কী, আংটিটুকু নিলেই হবে। kā