পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

XSty রবীন্দ্র-রচনাবলী অবিনাশ । কিছু অবহেলা করব না দাদা, কিন্তু এখন একটা বড়ো দরকারি কাজ আছে। বৈকুণ্ঠ । আচ্ছ, তা হলে তোমরা একটু বসে — ভালোমানুষ পেয়ে বেচার কেদারবাবুকে ভারি মুশকিলে ফেলেছে— একটু বিবেচনা নেই-- বয়সের ধর্ম! তিনকড়ির প্রবেশ কেদার। আবার এখানে কী করতে এলি ? তিনকড়ি। ভয় কী দাদা, দুজন আছে – একটিকে তুমি নাও, একটি আমাকে দাও । বৈকুণ্ঠ । বেশ কথা বাবা, এস আমার ঘরে এস । কেদার। তিনকড়ে, তুই আমাকে মাটি করলি! তিনকড়ি। সব্বাই বলে তুমিই আমাকে মাটি করেছ। (কাছে গিয়া ) রাগ কর কেন দাদা, ষে অবধি তোমাকে দেখেছি সেই অবধি আপন বাপ দাদা খুড়ে কাউকে ছু চক্ষে দেখতে পারিনে। এত ভালোবাসা । কেদার। বাজে বকিস কেন, তোর আবার বাপ দাদা কোথা ! তিনকড়ি। বললে বিশ্বাস কররিনে, কিন্তু আছে ভাই । ওতে তো খরচও নেই মাহাত্মিও নেই— তিনকড়েরও বাপ দাদা থাকে, যদি আমার নিজে করে নিতে হত তবে কি আর থাকত ? ককৃখনো না ! বৈকুণ্ঠ । হা হা হা হাঃ ! ছেলেটি বেশ কথা কয় । চলে বাবা, আমার ঘরে চলো । [ উভয়ের প্রস্থান অবিনাশ । খুব সংক্ষেপে লিখলুম, বুঝেছ কেদার— কেবল একটি লাইন— ‘দেবীপদতলে বিমুগ্ধ ভক্তের পূজোপহার’। কেদার। তা, কোনো কথাটিই বাদ দেওয়া হয়নি-– দিব্যি হয়েছে— তবে আজ खेटैि । অবিনাশ। কিন্তু পদতলে কথাটা কি ঠিক থাটল— ওটা কিনা আংটি— কেদার। কী বলে ভালো, তা করতলেই লিখে দাও না । । অবিনাশ। কিন্তু করতলে পূজোপহারটা কেমন শোনাচ্ছে ! কেদার। ত, না হয় পুজোপহার নাই হল, ওর নাম কী— অবিনাশ। শুধু উপহার লিখলে বড়ো ফাক শোনায়, পূজোপহারই থা— কেদার। তা থাকৃ না—