পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী واه با বলি অৰু, কী বলে ভালো, মাইনের টাকা থেকে কিছু কিছু কেটে নিয়ে দাদাকে দিলেই হয়। অৰু বলে, লজ্জ করে। বৈকুণ্ঠ। ছেলেমানুষ ! প্রণয়ের খাতিরও এড়াতে পারে না, আবার দাদার সম্মানটিও রাখতে হবে । কেদার। ওর নাম কী, আমি আপনার বইখানি উদ্ধার করে আনব— বৈকুণ্ঠ। তা, যত টাকা লাগে— আপনার কাছে আমি চিরঋণী হয়ে থাকব । কেদার। (স্বগত) বাজারে তো তার চার পয়সা দামও হল নী, এ আরও হল ভালো— ধর্মও রইল কিছু পাওয়াও গেল । [ প্রস্থান অবিনাশের প্রবেশ অবিনাশ । দাদা ! ठेवकूर्छ । कौ डांझे अबू ! অবিনাশ । আমার কিছু টাকার দরকার হয়েছে— বৈকুণ্ঠ। তাতে লজ্জা কী অৰু! আমি বলছি কী, এখন থেকে তোমার টাকা তুমিই রাখো না ভাই— আমি বুড়ো হয়ে গেলুম, হারিয়েই ফেলি কি ভুলেই যাই, আমার কি মনের ঠিক আছে। অবিনাশ । এ আবার কী নতুন কথা হল দাদা ! : বৈকুণ্ঠ। নতুন কথা নয় ভাই, তুমি বিয়েথাওয়া করে সংসারী হয়েছ, আমি তো সন্ন্যাসী মাতুষ— অবিনাশ । তুমিই তো, দাদা, আমার বিয়ে দিয়ে দিলে— তাতেই যদি পর হয়ে থাকি, তবে থাক, টাকাকড়ির কথা আর আমি বলব না। [ প্রস্থান বৈকুণ্ঠ । আহা, অবু, রাগ কোরো না । শোনো আমার কথাট, আহা শুনে যাও— ‘ভাবতে পারিনে পরের তাৰনা গাহিতে গাছিতে বিপিনের প্রবেশ বৈকুণ্ঠ। এই যে বেণীবাবু— বিপিন। আমার নাম বিপিনবিহারী। বৈকুণ্ঠ। হাই, বিপিনবাৰু। আপনার বিছানায় ওই যে বইগুলি রেখেছেন ওগুলি পড়ছেন বুঝি ? বিপিন। নাম, পড়িনে, বাজাই ।