পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী مbه چ বৈকুণ্ঠ। দেখ, ঈশেন, অনেক কাল থেকে আছিল, তোৱ কথাৰাৰ্তাগুলো আমাদের অত্যাস হয়ে এসেছে, এরা নতুন মানুষ এর সইতে পারবে কেন ? তুই একটু ঠাণ্ডা হয়ে কথা কইতে পারিসনে ? ঈশান। আমি ঠাণ্ড থাকি কী করে । এদের রকম দেখে আমার সর্বশরীর জলতে থাকে । বৈকুণ্ঠ। ঈশেন, ওরা আমাদের নতুন কুটুম্ব, ওরা কিছুতে ক্ষুণ্ণ হলে অবিনাশের গায়ে লাগবে, সে আমাকেও কিছু বলতে পারবে না, অথচ তার হল— । ঈশান। সে তে সব বুঝেছি। সেই জন্তেই তো ছোটাে বয়সে ছোটোবাবুকে বিয়ে দেবার জন্তে কতবার বলেছি। সময়কালে বিয়ে হলে এতটা বাড়াবাড়ি হয় मी । বৈকুণ্ঠ । যা, আর বকিসনে ঈশেন, এখন যা, আমি সকল কথা এক বার ভেবে দেখি । ঈশান। ভেবে দেখো! এখন যে কথাটা বলতে এসেছিলুম বলে নিই। আমাদের ছোটোমার খুড়ি না পিসি না কে এক বুড়ি এসে দিদিঠাকরুনকে যে দুঃখ দিচ্ছে সে তো আমার আর সহ্য হয় না । বৈকুণ্ঠ। আমার নীরুমাকে ! সে তো কারো কিছুতে থাকে মা । ঈশান। তাকে তো দিনরাত্তির দাসীর মতো খাটিয়ে মারছে । তার পরে আবার মাগী তোমার নামে খোটা দিয়ে তাকে বলে কি না ৰে, তুমি তোমার ছোটােভাইয়ের টাকায় গায়ে ফু দিয়ে বড়োমাছুযি করে বেড়াচ্ছ ! মাগীর ঘদি দাত থাকত তো নোড়া দিয়ে ভেঙে দিতুম না! বৈকুণ্ঠ। তা, নীরু কী বলে ? ঈশান। তিনি তো তার বাপেরই মেয়ে, মুখখানি যেন ফুলের মতো শুকিয়ে যায়, একটি কথা বলে না— বৈকুণ্ঠ। (কিয়ৎক্ষণ চুপ করিয়া ) একটা কথা আছে, ‘ষে সয় তারই জয়-- ঈশান। সে কথা আমি ভালো বুঝিনে। আমি এক বার ছোটোবাবুকে— বৈকুণ্ঠ। খবরদার ঈশেন, আমার মাথার দিব্যি দিয়ে বলছি, অবিনাশকে কোনো কথা বলতে পারবিনে । ঈশান । তবে চুপ করে বসে থাকব ? বৈকুণ্ঠ। না, আমি একটা উপায় ঠাউরেছি। এখানে জায়গাতেও জঙ্গি কুলোচ্ছে না, এদের সকলেরই অস্ববিধে হচ্ছে দেখতে পাচ্ছি, তা ছাড়া মৰিলাশের