পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૪૨ রবীন্দ্র-রচনাবলী বিপিন। কেদারের ঘরে আফিমের কৌটা ফেলে এসেছি— নিয়ে অলিগে । ‘ভাবতে পারিনে পারের ভাবনা লো সই।’ [ প্রস্থান তিনকড়ির প্রবেশ তিনকড়ি। এই ষে পেয়েছি! বৈকুণ্ঠবাৰু, ভালো তো ? বৈকুণ্ঠ। কী বাবা, তুমি ভালো আছ ? অনেক দিন দেখিনি। তিনকড়ি। ভয় কী বৈকুণ্ঠবাৰু, আবার অনেক দিন দেখতে পাবেন। ধরা দিয়েছি, এখন আপনার খাতাপত্র বের করুন । বৈকুণ্ঠ। সে-সব আর নেই তিনকড়ি, তুমি এখন নিশ্চিন্ত মনে এখানে থাকতে পারবে । তিনকড়ি। তা হলে আর লিখবেন না ? বৈকুণ্ঠ। না, সে-সব খেয়াল ছেড়ে দিয়েছি। তিনকড়ি । ছেড়ে দিয়েছেন সত্যি বলছেন ? বৈকুণ্ঠ। ই, ছেড়ে দিয়েছি। তিনকড়ি। আঃ, বাচলেম । তা হলে ছুটি— আমি যেতে পারি ? বৈকুণ্ঠ। কোথায় যাবে বাপু ? তিনকড়ি। অলক্ষ্মী যেখানে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ান। ভেবেছিলুম মেয়াদ ফুরোয়নি, খাতা এখনো অনেকখানি বাকি আছে, শুনে যেতে হবে। তা হলে প্রণাম হুই । বৈকুণ্ঠ। এস বাবা, ঈশ্বর তোমার ভালো করুন । তিনকড়ি। উহু! একটা কী গোল হয়েছে! ঠিক বুঝতে পারছিনে। ভাই ঈশেন, এতদিন পরে দেখা, তুমিও তো আমাকে মার মার শব্দে খেদিয়ে এলে না— তোমার জন্তে ভাবনা হচ্ছে । অবিনাশের প্রবেশ অবিনাশ। দাদা, কোথা থেকে তুমি যত সব লোক জুটিয়েছ— বাড়ির মধ্যে, বাইরে, কোথাও তো আর টিকতে দিলে না। বৈকুণ্ঠ। তারা কি আমার লোক অৰু! তোমারই তো সব— অবিনাশ । আমার কে! আমি তাদের চিনিনে। কোরের মৰু মাষ্ট্ৰীয়, তুমিই তো তাদের স্থান দ্বিয়েছ। সেই জন্তেই তো আমি তাদের কিছু বুঝতে পারিনে। তা, তুমি মুদি ধার তো তাদের সামলাও দাদা, আমি বাড়ি ছেড়ে চল্ললুম। বৈকুণ্ঠ। আমিই তো যাব মনে করছিলুমু—