পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রজাপতির নির্বন্ধ ২৩১ ঐশ। শহরে ভিক্ষুকের তো অভাব নেই। ওহে বিপিন, একটু পা চালিয়ে এগোও— কাহাতক রাস্তায় দাড়িয়ে বকবিকি করি ? তোমার আমোদ বোধ হচ্ছে, কিন্তু এরকম সালাপ আমার ভালো লাগে না। বিপিন। পা চালিয়ে পালাই কোথায় ? ভগবান একেও যে লম্বা এক জোড় প। দিয়েছেন । শ্ৰীশ । যদি পিছু ধরেন তা হলে ভগবানের সেই দান মানুষের হাতে পড়ে খোওয়াতে হবে । তৃতীয় পরিচ্ছেদ "মুখুজ্যে মশায়।” অক্ষয় বলিলেন, “অাজে করে।” শৈল কহিল, “কুলীনের ছেলে দুটোকে কোনো ফিকিরে তাড়াতে হবে।” অক্ষয় উৎসাহপূর্বক কহিলেন, “তা তো হবেই।” বলিয়া রামপ্রসাদী স্বরে গান জুড়িয়া দিলেন— দেখব কে তোর কাছে আসে ! তুই রবি একেশ্বরী, একলা আমি রইব পাশে । শৈল হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “একেশ্বরী ?” অক্ষয় বলিলেন, “নাহয় তোমরা চার ঈশ্বরীই হলে, শাস্ত্রে আছে অধিকন্তু ন দোষায় ।” * শৈল কহিল, “আর, তুমিই একলা থাকবে ? ওখানে বুঝি অধিকন্তু খাটে না ?” অক্ষয় কহিলেন, “ওখানে শাস্ত্রের আর একটা পবিত্ৰ বচন আছে– সর্বমত্যস্তগৰ্হিতং ।” শৈল। কিন্তু মুখুজোমশায়, ও পবিত্ৰ বচনটা তো বরাবর খাটবে না। অারও সঙ্গী জুটবে। অক্ষয় বলিলেন, “তোমাদের এই একটি শালার জায়গায় দশশালা বন্দোবস্ত হবে ? তখন আবার নূতন কাৰ্যবিধি দেখা যাবে। ততদিন কুলীনের ছেলেটেলেগুলোকে খেবতে দিচ্ছিনে!” # I