পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রজাপতির নির্বন্ধ રહ છે গান । কাফি й в কার হাতে যে ধরা দেব প্ৰাণ ; তাই ভাবতে বেলা অবসান। ভান দিকেতে তাকাই যখন, বায়ের লাগি কাজে রে মন বায়ের লাগি ফিরলে তখন দক্ষিণেতে পড়ে টান । আচ্ছ, আমার ষেন সানার গুটি দুই-তিন সদ্বপায় আছে, কিন্তু তুমি বিরহ-যামিনী কেমনে ষাপিবে, বিচ্ছেদতাপে যখন তাপিবে এপাশ ওপাশ বিছানা মাপিবে, মকরকেতনে কেবলি শাপিবে— পুরবালা । রক্ষে করে, ও মিলট ওইখানেই শেষ করে । অক্ষয় । দুঃখের সময় আমি থামতে পারিনে— কাব্য আপনি বেরোতে থাকে। মিল ভালো না বাস অমিত্রাক্ষর আছে, তুমি যখন বিদেশে থাকবে আমি ‘আর্তনাদবধ কাব্য’ বলে একটা কাব্য লিখব— সখী তার আরম্ভটা শোনো— (সাড়ম্বরে ) বাষ্পীয় শকটে চড়ি নারীচূড়ামণি পুরবালা চলি যবে গেলা কাশীধামে বিকালে, কহ হে দেবী অমৃতভাষিণী কোন বরাঙ্গনে বরি বরমাল্যদানে যাপিলা বিচ্ছেদমাস শুশলীক্ৰয়ীশালী ঐঅক্ষয় ! পুরবালা । (সগর্বে ) আমার মাথা খাও, ঠাট্ট নয়, তুমি একটা সত্যিকার কাব্য লেখো-না ! অক্ষয় । মাথা খাওয়ার কথাটা যদি বললে, আমি নিজের মাথাটি খেয়ে অবধি বুঝেছি ওটা স্বখাদ্যের মধ্যে গণ্য নয়। আর ওই কাব্য লেখা, ও কার্বটাও স্বসাধ্য বলে জ্ঞান করিনে। বুদ্ধিতে আমার এক জায়গায় ফুটে আছে, কাৰ্য জমতে পারে না— ফস ফস করে বেরিয়ে পড়ে । W তুমি জান আমার গাছে ফল কেন না ফলে । যেমনি ফুলটি ফুটে ওঠে জানি চরণতলে । , কিন্তু আমার প্রশ্নের তো কোনো উত্তর পেলুম না। কৌতুহলে মরে যাচ্ছি। 6|>b»