পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী سطواج পূর্ণ। সভাপতিমশায়কে রাস্তায় ধরতে যাচ্ছি-- পথে যেতে যেতে যদি দৈবাৎ আমার দুটো-একটা কথায় কর্ণপাত করেন। বিপিন। ঠিক উলটাে হবে। তার ষে কটা কথা বাকি আছে সেইগুলো তোমাকে শোনাতে শোনাতে কোথায় যাবার আছে সে কথা ভুলেই যাবেন। - বনমালীর প্রবেশ বনমালী। ভালো আছেন শ্ৰীশবাৰু? বিপিনবাৰু ভালো তো ? এই-যে পূর্ণবাবুও আছেন দেখছি! তা, বেশ হয়েছে। আমি অনেক বলে ক’য়ে সেই কুমারটুলির পাত্রীদুটিকে ঠেকিয়ে রেখেছি। শ্ৰীশ । কিন্তু আমাদের আর ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না। আমরা একটা গুরুতর কিছু করে ফেলব। পূর্ণ। আপনারা বস্থন শ্ৰীশবাবু! আমার একটা কাজ আছে। বিপিন। তার চেয়ে আপনি বহন পূর্ণবাৰু! আপনার কাজটা আমরা দুজনে মিলে সেরে দিয়ে আসছি। পূর্ণ। তার চেয়ে তিন জনে মিলে সারাই তো ভালো। বনমালী। আপনার ব্যস্ত হচ্ছেন দেখছি। আচ্ছা, তা, আর-এক সময় আসব। সপ্তম পরিচ্ছেদ চন্দ্রমাধববাৰু যখন ডাকিলেন– “নির্মল”, তখন একটা উত্তর পাইলেন বটে "কী মামা", কিন্তু স্বরটা ঠিক বাজিল না। চন্দ্রবাবু ছাড়া আর যে-কেহ হইলে বুঝিতে পারিত সে অঞ্চলে অল্প একটুখানি গোল আছে। “নির্মল, আমার গলার বোতামটা খুজে পাচ্ছি নে ৷” “বোধ হয় ওইখানেই কোথাও আছে।” এরূপ অনাবশ্বক এবং অনির্দিষ্ট সংবাদে কাহারও কোনো উপকার নাই, বিশেষত যাহার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ। ফলত এই সংবাদে অদৃশু বোতাম সম্বন্ধে কোনো নূতন জ্ঞানলাভের সহায়তা না করিলেও নির্মলার মানসিক অবস্থা সম্বন্ধে অনেকটা আলোক বর্ধণ করিল। কিন্তু অধ্যাপক চন্দ্রমাধববাবুর দৃষ্টিশক্তি সে দিকেও যথেষ্ট প্রখর নহে।