বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সূচনা বিঘা জমি এইগুলির কাব্যকাকলি নীড়ের, বাসার ; “স্বৰ্গ হইতে বিদায়” এখানে সুর নেমেছে উৰ্ব্বলোক থেকে মর্ত্যের পথে ; ‘প্রেমের অভিষেক’এর প্রথম যে পাঠ লিখেছিলুম তাতে কেরানি-জীবনের বাস্তবতার ধূলিমাখা ছবি ছিল অকুষ্ঠিত কলমে আঁকা, পালিত অত্যন্ত ধিক্কার দেওয়াতে সেটা তুলে দিয়েছিলুম ; যেতে নাহি দিব’ কবিতায় বাঙালিঘরের ঘরকল্পার যে আভাস আছে তার প্রতিও লোকেন কটাক্ষ বর্ষণ করেছিল, ভাগ্যক্রমে তাতে বিচলিত হইনি, হয়তো ছ-চারটে লাইন বাদ পড়েছে। লোকজীবনের ব্যবহারিক বাণীকে উপেক্ষা করে আমার কাব্যে আমি কেবল আনন্দ মঙ্গল এবং ঔপনিষদিক মোহ বিস্তার করে তার বাস্তব সংসর্গের মূল্য লাঘব করেছি এমন অপবাদ কেউ কেউ আমাকে দিয়েছেন । আমার কাব্য সমগ্রভাবে আলোচনা করে দেখলে হয়তো তারা দেখবেন আমার প্রতি অবিচার করেছেন । আমার বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত আমি এই বাণীর পন্থাতেই আমার পদ্য ও গদ্য রচনাকে চালনা করেছি— জগতের মাঝে কত বিচিত্র তুমি হে তুমি বিচিত্ররূপিণী।