পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৬ রবীন্দ্র-রচনাবলী চিকিৎসা এবং রোগিচৰ্য সম্বন্ধে রামরতন ডাক্তার-মহাশয়ের কাছ থেকে নিয়মিত উপদেশ লাভ করছেন— ভদ্রলোকদের মধ্যে সেই শিক্ষা ব্যাপ্ত করবার জন্তে তিনি দুই-একটি অন্তঃপুরে গিয়ে শিক্ষাদানে নিযুক্ত হয়েছেন। এইরূপে প্রত্যেক সভ্যের স্বতন্ত্র ও বিশেষ চেষ্টায় আমাদের এই ক্ষুদ্র কুমারসভা সাধারণের অজ্ঞাতসারে ক্রমশই বিচিত্র সফলতা লাভ করতে থাকবে, এ বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। ঐশ। ওহে বিপিন, আমার কাজ তো আমি আরম্ভও করি নি। বিপিন । আমারও ঠিক সেই অবস্থা । ঐশ । কিন্তু করতে হবে । বিপিন । আমাকেও করতে হবে । ঐশ। কিছুদিন অন্ত সমস্ত আলোচনা ত্যাগ না করলে চলছে না। বিপিন। আমিও তাই ভাবছি। ঐশ। কিন্তু অবলাকাস্তবাবুকে ধন্ত বলতে হবে, উনি যে কখন আপনার কাজটি করে যাচ্ছেন কিছু বোঝবার জো নেই। বিপিন। তাই তো, বড়ো আশ্চর্য ! অথচ মনে হয়, যেন ওঁর অন্তমনস্ক হবার বিশেষ কারণ আছে। শ্ৰীশ । যাই, ওঁর সঙ্গে একবার আলোচনা করে আসি গে । [ শৈলর নিকট গমন পূর্ণ। রসিকবাবু, আপনাকে কী বলে ধন্যবাদ জানাব ? রসিক। কিছু বলবেন না, আমি এমনি বুঝে নেব। কিন্তু সকলে আমার মতো নয় পূর্ণবাৰু, আন্দাজে বুঝবে না, বলী-কওয়ার দরকার। পূর্ণ। আপনি আমার অন্তরের কথা বুঝে নিয়েছেন রসিকবাৰু, আপনাকে পেয়ে আমি বেঁচে গেছি। আমার যা কথা তা মুখে উচ্চারণ করতেও সংকোচ বোধ হয়। আপনি আমাকে পরামর্শ দিন কী করতে হবে । রসিক। প্রথমে আপনি ওঁর কাছে গিয়ে যা-হয় একটা কিছু কথা আরম্ভ করে जिन-नां । পূর্ণ। ওই দেখুন-না, অবলাকাস্তবাবু আবার ওঁর কাছে গিয়ে বসেছেন— রসিক। তা হোক-না, তিনি তো ওঁকে চারি দিকে ঘিরে দাড়ান নি। অবলাকাস্তকে তো ব্যুহের মতো ভেদ করে যেতে হবে না। আপনিও এক পাশে গিয়ে #ांझांन-ञां । পূর্ণ। আচ্ছ, আমি দেখি। শৈল। (নির্মলার প্রতি) আমাকে এত করে বলবেন না— আপনি জামায়