চিত্রা জলকলম্বরে মিশি পশিতেছে আসি কৰ্ণে মোর। বলি এক বাধা নৌকা-পরি বুদ্ধ জেলে গাথে জাল নতশির করি রৌদ্রে পিঠ দিয়া। উলঙ্গ বালক তার আনন্দে ব্যাপায়ে জলে পড়ে বারম্বার কলহাস্তে ; ধৈর্যময়ী মাতার মতন পদ্মা সহিতেছে তার স্নেহ-জালাতন । তরী হতে সম্মুখেতে দেখি দুই পার— স্বচ্ছতম নীলাভ্রের নির্মল বিস্তার ; মধ্যাঙ্ক-আলোকপ্লাবে জলে স্থলে বনে । বিচিত্র বর্ণের রেখা ; জাতপ্ত পবনে তীর-উপবন হতে কতু আসে বহি আম্রমুকুলের গন্ধ, কণ্ডু রহি রহি विश्रक्रव्र थांख् चव्र । আজি বহিতেছে প্রাণে মোর শাস্তিধারা— মনে হইতেছে স্বখ অতি সহজ সরল, কাননের প্রস্ফুট ফুলের মতে, শিশু-আননের হাসির মতন, পরিব্যাপ্ত বিকশিত— উন্মুখ অধরে ধরি চুম্বন-অমৃত চেয়ে আছে সকলের পানে বাক্যহীন শৈশববিশ্বাসে চিররান্ত্রি চিরদিন । বিশ্ববীণা হতে উঠি গানের মতন রেখেছে নিমগ্ন করি নিথর গগন । সে সংগীত কী ছন্দে গাখিব, কী করিয়া শুনাইব, কী সহজ ভাষায় ধরিয়া দিব তারে উপহার ভালোবাসি বায়ে, রেখে দিব ফুটাইয়া কী হাসি জাকারে নয়নে অধরে, কী প্রেমে জীবনে তারে &9
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭
অবয়ব