পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ * ebや एहेरठरे गांहेब्रांप्इ । जैकाभ्रूणक ८ष नउाठा बांमवचांछिद्र छब्रव नछाठी, डांब्रष्ठवर्ष চিরদিন ধরিয়া বিচিত্র উপকরণে তাহার ভিত্তিনির্মাণ করিয়া জাসিয়াছে। পর বলিয়া সে কাহাকেও দূর করে নাই, অনাৰ বলিয়া সে কাহাকেও বহিষ্কৃত করে নাই, অসংগত বলিয়া সে কিছুকেই উপহাস করে নাই। ভারতবর্ষ সমস্তই গ্রহণ করিয়াছে, সমস্তই স্বীকার করিয়াছে। এত গ্রহণ করিয়াও আত্মরক্ষা করিতে হইলে এই পুঞ্জীভূত সামগ্রীর মধ্যে নিজের ব্যবস্থা নিজের শৃঙ্খলা স্থাপন করিতে হয়— পশুযুদ্ধভূমিতে পণ্ডদলের মতো ইহাদিগকে পরস্পরের উপর ছাড়িয়া দিলে চলে না। ইহাদিগকে বিহিত নিয়মে বিভক্ত স্বতন্ত্র করিয়া একটি মূল ভাবের দ্বারা বদ্ধ করিতে হয়। উপকরণ যেখানকার হউক সেই শৃঙ্খলা ভারতবর্ষের, সেই মূলভাবটি ভারতবর্ষের। যুরোপ পরকে দূর করিয়া, উৎসাদন করিয়া, সমাজকে নিরাপদ রাখিতে চায় ; আমেরিকা জষ্ট্রেলিয়া নিয়ুজীলাও কেপ-কলনিতে তাহার পরিচয় আমরা আজ পর্যন্ত পাইতেছি । ইহার কারণ, তাহার নিজের সমাজের মধ্যে একটি স্থবিহিত শৃঙ্খলার ভাব নাই— তাহার নিজেরই ভিন্ন সম্প্রদায়কে সে যথোচিত স্থান দিতে পারে নাই এবং যাহারা সমাজের অঙ্গ তাহদের অনেকেই সমাজের বোঝার মতো হইয়াছে— এরূপ স্থলে বাহিরের লোককে সে সমাজ নিজের কোনখানে আশ্রয় দিবে ? আত্মীয়ই যেখানে উপদ্রব করিতে উষ্ঠত সেখানে বাহিরের লোককে কেহ স্থান দিতে চায় না। যে সমাজে শৃঙ্খলা আছে, ঐক্যের বিধান আছে, সকলের স্বতন্ত্র স্থান ও অধিকার আছে, সেই সমাজেই পরকে আপন করিয়া লওয়া সহজ । হয় পরকে কাটিয়া মারিয়া খেদাইয়া নিজের সমাজ ও সভ্যতাকে রক্ষা করা, নয় পরকে নিজের বিধানে সংস্থত করিয়া স্কবিহিত শৃঙ্খলার মধ্যে স্থান করিয়া দেওয়া, এই দুই রকম হইতে পারে। যুরোপ প্রখম প্রণালীটি অবলম্বন করিয়া সমস্ত বিশ্বের সঙ্গে বিরোধ উন্মুক্ত করিয়া রাখিয়াছে— ভারতবর্ষ দ্বিতীয় প্রণালী অবলম্বন করিয়া সকলকেই ক্রমে ক্রমে ধীরে ধীরে আপনার করিয়া লইবার চেষ্টা করিয়াছে। যদি ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে, যদি ধর্মকেই মানবসভ্যতার চরম আদর্শ বলিয়া স্থির করা যায়, তবে ভারতবর্ষের প্রণালীকেই শ্রেষ্ঠতা দিতে হইবে। * f পরকে অাপন করিতে প্রতিভার প্রয়োজন। অঙ্গের মধ্যে প্রবেশ করিবার নিজস্ব। ভারতবর্ষের মধ্যে সেই প্রতিত আমরা দেখিতে পাই। ভারতবর্ষ অসংকোচে জন্তের মধ্যে প্রবেশ করিয়াছে এবং জনায়াসে অন্তের সামগ্ৰী নিজের করিয়া লইয়াছে। বিদেশী বাহাকে পৌত্তলিকতা বলে ভারতবর্ষ তাহাকে