পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ Oso অতএব জড়ৎপ্রাপ্ত সমাজের শৈল্যিৰশতই এক সময়ে ক্ষত্ৰিয়-বৈ আপন चशिकांब्र श्रङ बड़े श्ब्रl ७ककांब्र श्ब्रl cञtछ । ॐांशंब्रां बलि नदछऊन एम, बदि তাহারা নিজের অধিকার যথার্থভাবে গ্রহণ করিবার জন্ত অগ্রসর হন, নিজের গৌরব যথার্থভাবে প্রমাণ করিবার জন্ত উষ্ঠত হন, তবে তাহাতে সমস্ত সমাজের পক্ষে মঙ্গল, . ব্রাহ্মণদের পক্ষে মজল । ব্রাহ্মণদিগকে নিজের যথার্থ গৌরব লাভ করিবার জন্য যেমন প্রাচীন আদর্শের দিকে যাইতে হইৰে, সমস্ত সমাজকেও তেমনি ৰাইতে হইবে ; ব্ৰাহ্মণ কেবল একলা যাইবে এবং আর-সকলে ষে যেখানে আছে সে সেইখানেই পড়িয়া থাকিবে, ইহা হইতেই পারে না। সমস্ত সমাজের এক দিকে গতি না হইলে তাহার কোনো এক অংশ সিদ্ধিলাভ করিতে পারে না। যখন দেখিব আমাদের দেশের কায়স্থ ও বণিক -গণ আপনাদিগকে প্রাচীন ক্ষত্রিয় ও বৈশু সমাজের সহিত যুক্ত করিয়া বৃহৎ হইবার, বহু পুরাতনের সহিত এক হইবার চেষ্টা করিতেছেন এবং প্রাচীন ভারতের সহিত আধুনিক ভারতকে সম্মিলিত করিয়া আমাদের জাতীয় সত্তাকে অবিচ্ছিন্ন করিবার চেষ্টা করিতেছেন, তখনই জানিব আধুনিক ব্রাহ্মণও প্রাচীন ব্রাহ্মণের সহিত মিলিত হইয়া ভারতবর্ষীয় সমাজকে সজীবভাবে যথার্থভাবে অখণ্ডভাবে এক করিবার কার্ধে সফল হইবেন । নহিলে কেবল স্থানীয় কলহবিবাদ দলাদলি লইয়া বিদেশী প্রভাবের সাংঘাতিক অভিঘাত হইতে সমাজকে রক্ষা করা অসম্ভব হইবে, নহিলে ব্রাহ্মণের সম্মান অর্থাৎ আমাদের সমস্ত সমাজের সম্মান ক্রমে তুচ্ছ হইতে তুচ্ছতম হইয়া আসিবে। আমাদের সমস্ত সমাজ প্রধানতই দ্বিজসমাজ ; ইহা যদি না হয়, সমাজ যদি শূত্রসমাজ হয়, তবে কয়েকজনমাত্র ব্রাহ্মণকে লইয়। এ সমাজ যুরোপীয় আদর্শেও খর্ব হইবে, ভারতবর্ষীয় আদশেও খর্ব হইবে। সমস্ত উন্নত সমাজই সমাজস্থ লোকের নিকট প্রাণের দাবি করিয়া থাকে, আপনাকে নিকৃষ্ট বলিয়া স্বীকার করিয়া জারামে জড়ত্বমুখভোগে যে সমাজ আপনার অধিকাংশ লোককে প্রশ্রশ্ন দিয়া থাকে সে সমাজ মরে, এবং নাও যদি মরে স্তবে তাহার মরাই ভালো। যুরোপ কর্মের উত্তেজনায়, প্রবৃত্তির উত্তেজনায় সর্বদাই প্রাণ দিতে প্রভত— জামরা যদি ধর্মের জন্য প্রাণ দিতে প্রভত না হই তবে সে প্রাণ অপমানিত হইতে খাৰিলে অভিমান প্রকাশ করা আমাদের শোভা পায় না। : 4 যুরোপীয় সৈন্ত যুদ্ধান্থরাগের উত্তেজনায় ও বেতনের লোতে ও গৌরবের আশ্বাসে প্রাণ দেয়, কিন্তু ক্ষত্রিয় উত্তেজনা ও বেতনের অভাব ঘটিলেক যুদ্ধে প্রাণ দিতে প্রভক্ত