VG) e জোড়াসাকে৷ ১৪ মাঘ, ১৩০০ রবীন্দ্র-রচনাবলী দেবতার গুপ্ত স্বধী যুগযুগান্তর আপনারে সুধাপাত্র করি, বিধাতার পুণ্য অগ্নি জালায়ে রেখেছে অনিবার সবিতা যেমন সযতনে, কমলার চরণকিরণে যথা পরিয়াছে হার স্বনির্মল গগনের অনন্ত ললাট । হে মহিমাময়ী, মোরে করেছ সম্রাট । সন্ধ্যা ক্ষাস্ত হও, ধীরে কও কথা। ওরে মন, নত করে শির। দিবা হল সমাপন, সন্ধ্যা আসে শাস্তিময়ী। তিমিরের তীরে অসংখ্য-প্রদীপ-জাল এ বিশ্বমন্দিরে এল আরতির বেলা । ঐ শুন বাজে নিঃশব্দ গম্ভীর মন্দ্রে অনন্তের মাঝে শঙ্খ ঘণ্টাধ্বনি । ধীরে নামাইয়| আনে৷ বিদ্রোহের উচ্চ কণ্ঠ পূরবীর মানমন্দ স্বরে। রাখে। রাখো অভিযোগ তব, মৌন করে বাসনার নিত্য নব নব নিফল বিলাপ। হেরো মৌন নভস্তল, ছায়াচ্ছন্ন মৌন বন, মৌন জলস্থল স্তম্ভিত বিষাদে নম্র । নির্বক নীরব দাড়াইয়া সন্ধ্যাসতী-— নয়নপল্লব নত হয়ে ঢাকে তার নয়নযুগল, অনন্ত আকাশপূর্ণ অশ্র-ছলছল করিয়া গোপন । বিষাদের মহাশাস্তি ক্লাস্ত ভুবনের ভালে করিছে একাস্তে
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪
অবয়ব