পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२8 ब्ररौठा-ब्रध्नावलौ বস্তুত প্রত্যেক সভ্যতারই একটি মূল আশ্রয় আছে। সেই আশ্রয়টি ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত কি না তাহাই বিচাধ । যদি তাহা উদার ব্যাপক না হয়, যদি তাহ ধর্মকে গীড়িত করিয়া বর্ধিত হয়, তবে তাহার আপাত উন্নতি দেখিয়া আমরা তাহাকে যেন ঈর্ষা, এবং তাহাকেই একমাত্র ঈপ্সিত বলিয়া বরণ, না করি। আমাদের হিন্দুসভ্যতার মূলে সমাজ, যুরোপীয় সভ্যতার মূলে রাষ্ট্রনীতি । সামাজিক মহত্ত্বেও মানুষ মাহাত্ম্য লাভ করিতে পারে, রাষ্ট্রনীতিক মহত্ত্বেও পারে। কিন্তু আমরা যদি মনে করি, যুরোপীয় ছাদে নেশন গড়িয়া তোলাই সভ্যতার একমাত্র প্রকৃতি এবং মহন্তত্বের একমাত্র লক্ষ্য— তবে আমরা ভুল বুৰিব। مراه ماد TBین বারোয়ারি-মঙ্গল আমাদের দেশের কোনো বন্ধু অথবা বড়োলোকের মৃত্যুর পর আমরা বিশেষ কিছুই করি না। এইজন্ত আমরা পরস্পরকে অনেক দিন হইতে অকৃতজ্ঞ বলিয়া নিন্দা করিতেছি— অথচ সংশোধনের কোনো লক্ষণ দেখা যাইতেছে না। ধিক্কার যদি আস্তরিক হইত, লজ্জা যদি যথার্থ পাইতাম, তবে এত দিনে আমাদের ব্যবহারে তাহার কিছু-না-কিছু পরিচয় পাওয়া যাইত। কিন্তু কেন আমরা পরস্পরকে লজ্জা দিই, অথচ লজ্জা পাই না ? ইহার কারণ আলোচনা করিয়া দেখা কর্তব্য । ঘা মারিলে যদি দরজা না খোলে তবে দেখিতে হয়, তালা বন্ধ আছে কি না । স্বীকার করিতেই হইবে, স্থত মান্তব্যক্তির জন্ত পাথরের মূর্তি গড়া আমাদের দেশে চলিত ছিল না ; এই প্রকার মাৰ্বল পাথরের পিগুদানপ্ৰথা আমাদের কাছে অভ্যস্ত নহে। আমরা হাহাকার করিয়াছি, অশ্রপাত করিয়াছি, বলিয়াছি জাহা, দেশের এত বড়ো লোকটাও গেল P– কিন্তু কমিটির উপর স্থতিরক্ষার ভার দিই নাই। এখন আমরা শিখিয়াছি এইরূপই কর্তব্য, অথচ তাহা আমাদের সংস্কারগত হয় নাই, এইজন্ত কর্তব্য পালিত না হইলে মুখে লজ দিই, কিন্তু ৰদয়ে জাঘাত পাই না। ழ் து ভিন্ন মানুষের হৃদয়ের বৃত্তি এক-রকম হইলেও বাহিরে তাহার প্রকাশ নানা কারণে নানা-রকম হইয়া থাকে। ইংরাজ প্রিয়ব্যক্তির মৃতদেহ মাটির মধ্যে ঢাকিয়া