se রবীন্দ্র-রচনাবলী সাধন করিতেছে, বিধবা পিসি-মাসিকে সসস্তান পালন করিতেছে । ইহাই দিশি মতে চাদ, ইহার উপরে আবার বিলাতি মতে চাঁদা লোকের সহ হয় কী করিয়া ? ইংরাজ নিজের বয়স্ক ছেলেকে পর্যন্ত স্বতন্ত্র করিয়া দেয়, তাহার কাছে চাদার দাবি করা অসংগত নহে। নিজের ভোগেরই জন্ত যাহার তহবিল তাহাকে বাহ উপায়ে স্বাৰ্থত্যাগ করাইলে ভালোই হয়। আমাদের কয়জন লোকের নিজের ভোগের জন্ত কতটুকু উত্তে থাকে ? ইহার উপরে বারে মাসে তেরো শত নূতন নূতন অনুষ্ঠানের জন্য চাদ। চাহিতে আসিলে বিলাতি সভ্যতার উত্তেজনাসত্বেও গৃহীর পক্ষে বিনয় রক্ষা করা কঠিন হয়। আমরা ক্রমাগতই লজ্জিত হইয়া বলিতেছি, এত বড়ো অনুষ্ঠানপত্র বাহির করিলাম, টাকা আসিতেছে না কেন— এত বড়ো ঢাক পিটাইতেছি, টাকা আসিয়া পড়িতেছে না কেন— এত বড়ো কাজ আরম্ভ করিলাম, অর্থাভাবে বন্ধ হইয়া যাইতেছে কেন ? বিলাত হইলে এমন হইত, তেমন হইত, হু হু করিয়া মুষলধারে টাকা বর্ষিত হইয়া যাইত— কবে আমরা বিলাতের মতো হুইব ? : বিলাতের আদর্শ আসিয়া পৌঁছিয়াছে, বিলাতের অবস্থা এখনো বহু দূরে। বিলাতি মতের লজ্জা পাইয়াছি, কিন্তু সে লজ্জা নিবারণের বহুমূল্য বিলাতি বস্ত্র এখনো পাই নাই। সকল দিকেই টানাটানি করিয়া মরিতেছি। এখন সর্বসাধারণে চাম্বা দিয়া যে-সকল কাজের চেষ্টা করে, পূর্বে আমাদের দেশে ধনীরা তাহ একাকী করিতেন— তাহাতেই তাহাদের ধনের সার্থকতা ছিল। পূর্বেই বলিয়াছি, আমাদের দেশে সাধারণ গৃহস্থ সমাজকৃত্য শেষ করিয়া নিজের স্বাধীন ভোগের জন্য উত্ত্বেত্ত কিছুই পাইত না, সুতরাং অতিরিক্ত কোনো কাজ করিতে না পারা তাহার পক্ষে লজ্জার বিষয় ছিল না। যে-সকল ধনীর ভাণ্ডারে উদাত্ত অর্থ থাকিত, ইষ্টপূর্ড কাজের জন্ত তাহদেরই উপর সমাজের সম্পূর্ণ দাবি থাকিত। তাহারা সাধারণের অভাব পূরণ করিবার জন্ত ব্যয়সাধ্য মঙ্গলকর্মে প্রবৃত্ত না হইলে সকলের কাছে লাঞ্ছিত হুইত, তাহীদের নামোচ্চারণও অশুভকর বলিয়া গণ্য হইত। ঐশ্বর্ষের আড়ম্বরই বিলাতি ধনীর প্রধান শোভা, মঙ্গলের আয়োজন ভারতের ধনীর প্রধান শোভা। সমাজস্থ বন্ধুদিগকে বহুমূল্য পাত্রে বহুমূল্য ভোজ দিয়া বিলাতের ধনী তৃপ্ত, জাহত রবাহত অনাহুতদিগকে কলার পাতায় ; অন্নদান করিয়া আমাদের ধনীর তৃপ্ত। ঐশ্বর্ধকে মঙ্গলদানের মধ্যে প্রকাশ করাই ভারতবর্ষের ঐশ্বৰ— ইহা নীতিশাস্ত্রের নীতিকথা নহে, আমাদের সমাজে ইহা এতকাল পর্যন্ত প্রত্যহই ব্যক্ত হইয়াছে— সেইজন্যই সাধারণ গৃহস্থের কাছে আমাদিগকে টানাकांश्रिङ इञ्च मांई । शत्रौब्रांहे जांबांदमब्र cनप्ल फूर्डिककांप्ल चन्न, जणांठांवकांप्ण खण नांम
