পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e রবীন্দ্র-রচনাবলী و \8 উপমার মধ্যে নিভৃত অরণ্যের একান্ত নির্জনতার ভাবটুকু রহিয়া গেছে। এই উপমার দৃষ্টিতে প্রত্যেক জীবাত্মা যেন একাকীরূপেই পরমাত্মার সহিত সংযুক্ত। ইহাতে যে ধ্যানচ্ছবি মনে আনে তাহাতে দেখিতে পাই যে, যে আমি ভোগ করিতেছি, ভ্রমণ করিতেছি, সন্ধান করিতেছি, সেই আমির মধ্যে শাস্তং শিবমদ্বৈতম্ স্তব্ধভাবে নিয়ত আবির্ভূত। কিন্তু এই একের সহিত একের সংযোগ ভুবনেশ্বরের মন্দিরে লিখিত নহে। সেখানে সমস্ত মানুষ তাহার সমস্ত কর্ম সমস্ত ভোগ লইয়া, তাহার তুচ্ছবৃহৎ সমস্ত ইতিহাস বহন করিয়া, সমগ্রভাবে এক হইয়া, আপনার মাঝখানে অন্তরতররূপে স্তন্ধরূপে সাক্ষীরূপে ভগবানকে প্রকাশ করিতেছে— নির্জনে নহে, যোগে নহে— সজনে, কর্মের মধ্যে। তাহা সংসারকে লোকালয়কে দেবালয় করিয়া ব্যক্ত করিয়াছে— তাহা সমষ্টিরূপে মানবকে দেবত্বে অভিষিক্ত করিয়াছে। তাহ প্রথমত ছোটোবড়ো সমস্ত মানবকে আপনার প্রস্তরপটে এক করিয়া সাজাইয়াছে, তাহার পর দেখাইয়াছে— পরম ঐক্যটি কোনখানে, তিনি কে। এই ভূম-ঐক্যের অস্তরতর আবির্ভাবে প্রত্যেক মানব সমগ্র মানবের সহিত মিলিত হইয়া মহীয়ান । পিতার সহিত পুত্র, ভ্রাতার সহিত ভ্রাতা, পুরুষের সহিত স্ত্রী, প্রতিবেশীর সহিত প্রতিবেশী, এক জাতির সহিত অন্য জাতি, এক কালের সহিত অন্ত কাল, এক ইতিহাসের সহিত অন্ত ইতিহাস দেবতাত্মা-দ্বারা একাত্ম হইয়া উঠিয়াছে। পৌষ ১৩১০ ধৰ্ম্মপদং पन्त्रणंबर । वर्षां९ पन्त्रणष नांगक नीजि अंtइब बूल, अदग्न, नत्कृष्ठ शांश1७ दवांछ्वांश প্রচারচজ ৰন্থ কর্তৃক সম্পাদিত, প্রণীত ও প্রকাশিত জগতে যে কয়েকটি শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ আছে, ‘ধৰ্ম্মপদং তাহার একটি। বৌদ্ধদের মতে এই ধৰ্ম্মপদগ্রন্থের সমস্ত কথা স্বয়ং বুদ্ধদেবের উক্তি এবং এগুলি তাহার মৃত্যুর অনতিকাল পরেই গ্রন্থাকারে আবদ্ধ হইয়াছিল। এই গ্রন্থে যে-সকল উপদেশ আছে তাহ সমস্তই বুদ্ধের নিজের রচনা কিনা তাহা নিঃসংশয়ে বলা কঠিন ; অন্তত এ কথা স্বীকার করিতে হইবে, এই-সকল নীতিকাব্য ভারতবর্ষে বুদ্ধের সময়ে এবং তাহার পূর্বকাল হইতে প্রচলিত হইয়া আসিতেছে। ইহার মধ্যে অনেকগুলি শ্লোকের অনুরূপ গোক মহাভারত পঞ্চতন্ত্র