চারিত্রগুজা বিদ্যাসাগরচরিত AD BBBB BB DDD BBB DBBHDDD DDDDLLS DD BBBBB चकिरदनtन 4वांबख् चिरबछांद्र ब्रजक८१ ***छ বিষ্ঠাসাগরের চরিত্রে বাহা সর্বপ্রধান গুণ— যে গুণে তিনি পল্লী-জাচারের ক্ষুদ্রতা, বাঙালিজীৰনের জড়ত্ব, সবলে ভেদ করিয়া একমাত্র নিজের গতিবেগপ্রাবল্যে কঠিন প্রতিকূলতার বক্ষ বিদীর্ণ করিয়া, হিন্দুত্বের দিকে নহে, সাম্প্রদায়িকতার দিকে নহে, করুণার অগ্রজলপূর্ণ উন্মুক্ত অপার মন্থন্তত্বের অভিমুখে আপনার দৃঢ়নিষ্ঠ একাগ্র একক জীবনকে প্রবাহিত করিয়া লইয়া গিয়াছিলেন— আমি যদি অদ্য র্তাহার সেই গুণকীর্তন করিতে বিরত হই তবে আমার কর্তব্য একেবারেই অসম্পন্ন থাকিয়া ষায় । কারণ, বিদ্যাসাগরের জীবনবৃত্তাস্ত আলোচনা করিয়া দেখিলে এই কথাটি বারম্বার মনে উদয় হয় যে, তিনি ষে বাঙালি বড়োলোক ছিলেন তাহা নহে, তিনি যে রীতিমত হিন্দু ছিলেন তাহাও নহে— তিনি তাহা অপেক্ষাও অনেক বেশি বড়ো ছিলেন, তিনি যথার্থ মানুষ ছিলেন। বিদ্যাসাগরের জীবনীতে এই অনন্তস্থলভ মহন্তত্বের প্রাচুর্যই সর্বোচ্চ গৌরবের বিষয়। তাহার সেই পর্বতপ্রমাণ চরিত্রমাহাঙ্ক্যে তাহারই কৃতকীর্তিকেও খর্ব করিয়া রাখিয়াছে। তাহার প্রধান কীর্তি বঙ্গভাষা। যদি এই ভাষা কখনো সাহিত্যসম্পদে ঐশ্বর্যশালিনী হইয়া উঠে, যদি এই ভাষা অক্ষয়ভাবজননীরূপে মানবসভ্যতার ধাত্রীগণের ও মাতৃগণের মধ্যে গণ্য হয়— যদি এই ভাষা পৃথিবীর শোকছুঃখের মধ্যে এক নূতন সার্জনাস্থল, সংসারের তুচ্ছতা ও ক্ষুত্র স্বার্থের মধ্যে এক মহত্বের জাদর্শলোক, দৈনন্দিন মানবজীবনের অবসাদ ও অস্বাস্থ্যের মধ্যে সৌন্দর্বের এক নিভৃত নিকুঞ্জবন রচনা করিতে পারে, তবেই তাহার এই কীর্তি তাহার উপযুক্ত গৌরব হাত করিতে পারবে। বাংলাভাষার বিকাশে বিজ্ঞাসাগরের প্রভাৰ কিরূপ কাৰ করিয়াছে এখানে তাহ বিজ্ঞাসাগর বাংলাভাষার প্রথম ৰখাৰ শিল্পী ছিলেন। তৎপূর্বে বাংলায় গম্ভসাহিত্যের স্বচনা হইয়াছিল, কিন্তু তিনিই সর্বপ্রথমে বাংলা গতে কলানৈপুণ্যের
