পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারিত্রপূজা 8ማሕ গ্রন্থ অথবা চিত্র অথবা মূর্তি চিরকাল আপনার স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করিয়া ৰাপন রচনাকর্তাকে স্মরণ করাইয়া দেয়, কিন্তু ভাষা ছোটে বড়ে অসংখ্য লোকের নিকট হইতে জীবনলাভ করিতে করিতে ব্যাপ্ত হইয়া পূর্ব ইতিহাস বিশ্বত হইয়া চলিয়া যায়,বিশেষরূপে কাহারও নাম ঘোষণা করে না। n কিন্তু সেজন্ত আক্ষেপ করিবার প্রয়োজন নাই ; কারণ, বিদ্যাসাগরের গৌরব কেবলমাত্র তাহার প্রতিভার উপর নির্ভর করিতেছে না। প্রতিভা মানুষের সমস্তটা নহে, তাহা মামুযের একাংশমাত্র। প্রতিভা মেঘের মধ্যে বিদ্যুতের মতো ; আর মকুন্যত্ব চরিত্রের দিবালোক, তাহ সর্বত্রব্যাপী ও স্থির । প্রতিভা মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ অংশ ; আর, মকুন্যত্ব জীবনের সকল মুহূর্তেই সকল কার্ধেই আপনাকে ব্যক্ত করিতে থাকে. প্রতিভা অনেক সময়ে বিদ্যুতের স্তায় আপনার ব্যাপকতাগুণেই প্রতিভা অপেক্ষা মানতর বলিয়া প্রতীয়মান হয়। কিন্তু চরিত্রের শ্ৰেষ্ঠতাই যে যথার্থ শ্রেষ্ঠতা, ভাবিয়া দেখিলে সে বিষয়ে কাহারও সংশয় থাকিতে পারে না । J ভাষা প্রস্তর অথবা চিত্রপটের দ্বারা সত্য এবং সৌন্দর্ধ প্রকাশ করা ক্ষমতার কার্ব সন্দেহ নাই ; তাহাতে বিচিত্র বাধা-অতিক্রম এবং অসামান্ত নৈপুণ্য-প্রয়োগ করিতে হয়। কিন্তু নিজের সমগ্র জীবনের দ্বারা সেই সত্য ও সৌন্দর্য প্রকাশ করা তদপেক্ষা আরও বেশি দুরূহ ; তাহাতে পদে পদে কঠিনতর বাধা অতিক্রম করিতে হয় এবং তাহাতে স্বাভাবিক স্বল্প বোধশক্তি ও নৈপুণ্য, সংযম ও বল অধিকতর আবশ্বক छ् । * এই চরিত্ররচনার প্রতিভা কোনো সাম্প্রদায়িক শাস্ত্র মানিয়া চলে না। প্রকৃত কবির কবিত্ব যেমন অলংকারশাস্ত্রের অতীত, অথচ বিশ্বহৃদয়ের মধ্যে বিধিরচিত নিগৃঢ়নিহিত এক অলিখিত অলংকারশাস্ত্রের কোনো নিয়মের সহিত তাহার স্বভাবত কোনো বিরোধ হয় না, তেমনি ধাহারা যথার্থ মন্থন্ত তাহীদের শাস্ত্র তাহাজের অন্তরের মধ্যে, অথচ বিশ্বব্যাপী মন্থন্তত্বের সমস্ত নিত্যবিধানগুলির সঙ্গে সে শাস্ত্র আপনি মিলিয়া DD S DBBBS DDDD BBBB BBBD SDBBDBBS DDDD DDBBBSBBB পায়, মহক্ষরিত্রবিকাশেও সেইরূপ অনন্ততন্ত্রতার প্রয়োজন হয়। অনেকে বিদ্যাসাগরের অনন্ততন্ত্র প্রতিভা ছিল না বলিয়া আভাস দিয়া থাকেন, তাহারা জানেন অনন্ততন্ত্ৰৰ কেবল সাহিত্যে এবং শিল্পে, বিজ্ঞানে এবং দর্শনেই প্রকাশ পাইয়া থাকে। বিজ্ঞাসাগর