বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী এ প্রাণ বীণার মতে ঝংকারি উঠেছে কত আসিয়াছে শুভক্ষণ কত অমুকুল— মনে পড়ে তারি সাথে कङनेिन कष्ठ <थां८ड সেই চাপ সেই বেলফুল ! সেই সব এই সব, তেমনি পাখির রব, তেমনি চলেছে হেসে জাগ্রত সংসার । দক্ষিণ-বাতাসে-মেশা ফুলের গন্ধের নেশা দিকে দিকে ব্যাকুলতা করিছে সঞ্চার। অবোধ অস্তরে তাই চারিদিক-পানে চাই, অকস্মাৎ আনমনে জেগে উঠে ভুল— বুঝি সেই স্নেহসনে ফিরে এল এ জীবনে সেই চাপা সেই বেলফুল ! আনন্দ পাথেয় যত সকলি হয়েছে গত, দুটি রিক্তহস্তে মোর আজি কিছু নাই। তৰু সম্মুখের পানে চলেছি কঠিন প্রাণে, যেতে হবে গম্যস্থানে, ফিরে না তাকাই । দাড়ায়ো না, চলো চলো, কী আছে কে জানে বলো ধূলিময় শুক্ষপথ, সংশয় বিপুল— শুধু জানিয়াছি সার কন্তু ফুটিবে না আর সেই চাপা সেই বেলফুল ! আমি কিছু নাহি চাই, যাহা দিবে লব তাই, চিরমুখ এ জগতে কে পেয়েছে কবে । প্রাণে লয়ে উপবাস কাটে কত বর্ধমাস, তৃষিত তাপিত চিত্ত কত অাছে ভবে। শুধু এক ভিক্ষা আছে, যেদিন আসিবে কাছে জীবনের পথশেষে মরণ অকূল সেদিন স্নেহের সাথে তুলে দিয়ে৷ এই হাতে সেই চাপা সেই বেলফুল !