পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

é२8 রবীন্দ্র-রচনাবলী মহৰ্ষির জন্মোৎসব ७झ1४खां भषिं cनप्रखानां षङ्ग खट्वt९णप्य शेड পূজনীয় পিতৃদেবের আজ অষ্টানীতিতম সাংবৎসরিক জন্মোৎসব। এই উৎসবদিনের পবিত্রতা আমরা বিশেষভাবে হৃদয়ের মধ্যে গ্রহণ করিব । বহতর দেশকে সঞ্জীবনস্পর্শে উর্বর করিয়া, পুণ্যধারায় বহুতর গ্রামনগরীর পিপাসা মিটাইয়া, অবশেষে জাহ্নবী যেখানে মহাসমুদ্রের প্রত্যক্ষসমূখে আপন মুদীর্ঘ পর্যটন অতলস্পর্শ শাস্তির মধ্যে সমাপ্ত করিতে উদ্যত হন, সেই সাগরসংগমস্থল তীর্থস্থান। পিতৃদেবের পুতজীবন অদ্য আমাদের সম্মুখে সেই তীর্থস্থান অবারিত করিয়াছে। র্তাহার পুণ্যকর্মরত দীর্ঘজীবনের একাগ্রধারা অদ্য যেখানে তটহীন সীমাশূন্ত বিপুল বিরামসমূত্রের সম্মুখীন হইয়াছে সেইখানে আমরা ক্ষণকালের জন্ত নতশিরে স্তব্ধ হইয়া দণ্ডায়মান হইব। আমরা চিস্তা করিয়া দেখিব, বহুকাল পূর্বে একদিন স্বর্গ হইতে কোন শুভস্থৰ্যকিরণের আঘাতে অকস্মাৎ স্বপ্তি হইতে জাগ্রত হইয়া, কঠিন তুষারবেষ্টনকে অশ্রধারায় বিগলিত করিয়া, এই জীবন আপন কল্যাণযাত্রা আরম্ভ করিয়াছিল— তখন ইহার ক্ষীণ স্বচ্ছ ধার কখনও আলোক, কখনও অন্ধকার, কখনও আশা, কখনও নৈরাপ্তের মধ্য দিয়া দুৰ্গম পথ কাটিয়া কাটিয়া চলিতেছিল। বাধা প্রতিদিন বৃহদাকার হইয়া দেখা দিতে লাগিল, কঠিন প্রস্তরপিগুসকল পথরোধ করিয়া দাড়াইল— কিন্তু সে-সকল বাধায় শ্রোতকে রুদ্ধ না করিতে পারিয়া দ্বিগুণবেগে উদ্‌বেল করিয়া তুলিল, দুঃসাধ্য দুর্গমত সেই দুর্বার বলের নিকট মন্তক নত করিয়া দিল। এই জীবনধারা ক্রমশ বৃহৎ হইয়া, বিস্তৃত হইয়া, লোকালয়ের মধ্যে অবতরণ করিল, দুই কূলকে নবজীবনে অভিষিক্ত করিয়া চলিল, বাধা মানিল না, বিশ্রাম করিল না, কিছুতেই তাহাকে লক্ষ্য হইতে বিক্ষিপ্ত করিয়া দিল না— অবশেষে আজ সেই একনিষ্ঠ অনন্তপরায়ণ জীবনস্রোত সংসারের দুই কূলকে আচ্ছন্ন করিয়া, অতিক্রম করিয়া উঠিয়াছে— আজ সে তাহার সমস্ত চেষ্টা, সমস্ত চাঞ্চল্যকে পরমপরিণামের সম্মুখে প্রশান্ত করিয়া পরিপূর্ণ আত্মবিসর্জনের দিকে আপনাকে প্রসারিত করিয়াছে— অনন্ত জীবনসমূত্রের সহিত সার্থক জীবনধারার এই স্থগভীর সন্মিলনাগু অন্ত আমাদের ধ্যাননেত্রের সম্মুখে উদঘাটিত হইয়া আমাদিগকে ধন্ত করুক। অমৃতপিপাসা ও অমৃতসন্ধানের পথে ঐশ্বর্ধ একটি প্রধান অন্তরায়। সামান্ত সোনার প্রাচীর উচ্চ হইয়া উঠিয়া আমাদের দৃষ্টি হইতে অনন্ত আকাশের অমৃত