পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় @●● খওতাকে ঐক্যমান করিয়৷ বিশ্বের সহিত তাহার সামগ্ৰস্ত স্থাপন করিতেছেন, আমি তাহা মনে করি না— আমি জানি, অনাদিকাল হইতে বিচিত্র-বিশ্বত অবস্থার মধ্য দিয়া তিনি জামাকে আমার এই বর্তমান প্রকাশের মধ্যে উপনীত করিয়াছেন ; সেই বিশ্বের মধ্য দিয়া প্রবাহিত অস্তিত্বধারার বৃহংস্কৃতি র্তাহাকে অবলম্বন করিয়া আমার অগোচরে আমার মধ্যে রহিয়াছে ৷ ‘ · আমার অস্তর্নিহিত যে স্বজনশক্তি ... আমার জীবনের সমস্ত স্থখদুঃখকে সমস্ত ঘটনাকে ঐক্যদান তাৎপর্যদান করিতেছে, আমার রূপরূপান্তর-জন্মজন্মান্তরকে একস্থজে গাখিতেছে, যাহার মধ্য দিয়া বিশ্বচরাচরের মধ্যে ঐক্য অনুভব করিতেছি, তাহাকেই ‘জীবনদেবতা’ নাম দিয়া লিখিয়াছিলাম— ওহে অন্তরতম, মিটেছে কি তব সকল আসি অস্তরে মম ! দুঃখস্থখের লক্ষ ধারায় পাত্র ভরিয়া দিয়েছি তোমায়, নিঠুর পীড়নে নিঙাড়ি বক্ষ দলিত দ্রীক্ষণসম । কত যে বরন কত যে গন্ধ কত ষে রাগিণী কত যে ছন্দ গাথিয়া গণথিয়া করেছি বয়ন বাসরশয়ন তব— গলায়ে গলায়ে বাসনার সোনা প্রতিদিন আমি করেছি রচনা তোমার ক্ষণিক খেলার লাগিয়৷ মুরতি নিত্যনব । আশ্চর্ষ এই যে, আমি হইয়া উঠিতেছি, আমি প্রকাশ পাইতেছি! আমার মধ্যে কী অনন্ত মাধুর্ব জাছে যেজন্ত আমি অসীম ব্ৰহ্মাণ্ডের অগণ্য স্বর্ধচন্দ্রগ্রহতারকার সমস্ত শক্তি-স্বারা লালিত হইয়৷ এই আলোকের মধ্যে, আকাশের মধ্যে, চোখ মেলিয়া দাড়াইয়াছি—আমাকে কেহ ত্যাগ করিতেছে না। মনে কেবল এই প্রশ্ন উঠে, আমি আমার এই আশ্চৰ অস্তিত্বের অধিকার কেমন করি রক্ষা করিতেছি— আমার উপরে ৰে প্রেম, ষে জানা অশ্ৰান্ত রহিয়াছে, বাহ না থাকিলে আমার থাকিবার רכיש8